সাবেক সামরিক কর্মকর্তাদের খাবারও ফিরিয়ে দিল পুলিশ

ভাষা শহীদদের স্মরণে খালেদার বিশেষ মোনাজাত

মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মহান ভাষা সৈনিকদের স্মরণে শনিবার বাদ আসর অনুষ্ঠিত মিলাদ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন খালেদা জিয়া। এ ছাড়া দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানও মোনাজাতে অংশ নেন। তিনি ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যালয়ে অবস্থান করছেন।
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে এবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনাম আহমেদ চৌধুরী, অধ্যাপক মাজেদুল ইসলাম, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর নেতা আবু সাঈদ খোকন প্রমুখ নেতা। শনিবার সকালে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা।
৩ জানুয়ারি রাত থেকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার কার্যালয়ে অবস্থান নেয়া দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, উপদেষ্টা এমএ কাইয়ূম, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মাহবুব আলামিন ডিউ, চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তার, চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান, নিরাপত্তা সমন্বয়কারী কর্নেল (অব.) এমএ মজিদসহ কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মিলাদে অংশ নেন।
মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মাহমুদুল হাসান শামীম। এ ছাড়া মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, জয়নাল আবেদীন, আব্দুল্লাহ শরিফ, কারী আসাদুজ্জামন, সিরাজুল ইসলাম ও মাওলানা মীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মিলাদ মাহফিল নিয়ে গুলশানের ৮৬ নম্বর সড়কের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে পুলিশের সর্তকাবস্থান লক্ষ্য করা যায়।

সাবেক সামরিক কর্মকর্তাদের খাবারও ফিরিয়ে দিল পুলিশ

পুলিশি বাঁধায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের জন্য আনা খাবার দিতে পারেননি অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের একটি দল। পরে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে খাবার রাস্তার ওপর রেখে ফিরে যান।

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

শনিবার দুপুরে সামরিক কর্মকর্তাদের আনা খাবারের মধ্যে ছিল ভাত-মাছ-মাংস, পানির বোতল, কলা ও প্যাকেট জুস। বেলা সোয়া ১২টার দিকে অবসরপ্রাপ্ত স্কোয়াডন লিডার রেজাউর রহমানের নেতৃত্বে সাবেক সামরিক কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধি দল ও তাদের পরিবারের সদস্যরা গুলশানের ৮৬ নং সড়কে উত্তর দিকের মোড়ে এসে পৌঁছালে পুলিশ তাদের গতিরোধ করে। নিজেদের পরিচয় দিয়ে তারা আসার কারণ জানালেও তাদের খালেদার গুলশান কার্যালয় অভিমুখে যেতে দেয়নি পুলিশ।
এ সময় সাবেক সেনা কর্মকর্তারা পুলিশকে অনুরোধ জানায় রান্না করা দুপুরের খাবার গুলো গুলশান কার্যালয়ে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। কিন্তু সাদা পোষাকে পুলিশের গুলশান থানার এক কর্মকর্তা জানান, ‘কোনো খাবার যাবে না। উপরের নিষেধ আছে।’
এরপর উপস্থিত সাংবাদিকদের অবসরপ্রাপ্ত স্বোয়াডন লিডার রেজাউর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা আমাদের সাবেক সেনা প্রধানের (জিয়াউর রহমান) স্ত্রীর জন্য মানবিক কারণে কিছু খাবার নিয়ে এসেছিলাম, তা সেখানে নিতেও দিচ্ছে না পুলিশ। এমনকি পৌঁছিয়েও দিতে চাচ্ছে না তারা।’
তিনি বলেন, আমরা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নই, আমরা রাজনীতি করি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ থেকে বুঝা যায়, দেশের পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক নয়। আমরা গণমাধ্যমে জেনেছিলাম, বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে খাবার নেওয়া যাচ্ছে না। তা আজ প্রত্যক্ষ করলাম।’
তিনিসহ তার সহকর্মীরা পরে খাবারগুলো পৌঁছিয়ে দিতে সাংবাদিকদেরও অনুরোধ জানান। এরপর খাবার রাস্তার পাশে রেখে তারা চলে যান।
অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন, আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে নিজেরা রান্না করে নিজেদের স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের কার্যালয়ের কাছেই যেতে দিলো না, ২০০ গজ দূরে আমাদেরকে আটকিয়ে দিয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রতিনিধি দলে ছিলেন, স্কোয়াডন লিডার এম ওয়াহিদ উন নবী, স্কোয়াডন লিডার টুক জামিল, স্কোয়াডন লিডার মুহাম্মদ তারেক, মেজর জামালী হায়দার, ক্যাপ্টেন ফিরোজ ইফতেখার, লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল আলম, ফ্লাইট লে.(অব.) মোহাম্মদ রেজোয়ান প্রমূখ।
খাবার সরবরাহে বাধা দেওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেন গুলশান থানার ওসি রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, খালেদার খাবার সরবরাহে কোনো বিধিনিষেধ নেই। তবে ওখানে কর্তব্যরত পুলিশ কী করেছে তা জানি না।

যে কারণে শহীদ মিনার যাননি খালেদা জিয়া

সাবেক সামরিক কর্মকর্তাদের খাবারও ফিরিয়ে দিল পুলিশ



মন্তব্য চালু নেই