ঘরের সৌন্দর্যে বাহারি কুশন

বসার ঘরের সোফায়, বিছানায় কিংবা ঘরের কোণে শুধুই সাজিয়ে রাখতে অনেকেই ছোট বালিশ ব্যবহার করেন। কুশন নামে পরিচিত এই ধরনের বালিশ এখন ছোটখাটো সব মার্কেটে পাওয়া যায়। বিভিন্ন বুটিক হাউজ তাদের দোকানগুলোতে বিক্রি করছে বাহারি সব কুশন। আপনার রুচির পরিচয়ের সঙ্গে ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এসব কুশনের জুড়ি নেই। শুধু কুশন কিনলেই হবে না, হাল ফ্যাশনের কথা চিন্তা করে কিনতে হয় এর কাভার। কুশন কেনার আগে অবশ্যই সোফা বা বিছানার মাপ বুঝে নিতে হবে। একই মাপের অনেক কুশন না কিনে বিভিন্ন মাপের কিনতে পারেন। এছাড়া কাভার কেনার সময় ঘরের দেয়াল, পর্দা এসবের রংয়ের সঙ্গে মানানসই কুশন কাভার কিনলে বেশি মানায়।

বিছানায় ব্যবহারের জন্য একটু ছোট কুশন সৌন্দর্য বাড়াতে সহায়ক হবে। সোফা কিংবা ডিভানের জন্য কিনতে পারেন বড় কুশন। তবে এক্ষেত্রে সোফার মাপ মাথায় রাখাটা আবশ্যক। বাচ্চাদের ঘর সাজাতে বিভিন্ন রংয়ের নানান আকৃতির কুশন রাখলে ছোটরা মজা পাবে বেশি। এক্ষেত্রে পুতুল বা বিভিন্ন কার্টুনের আকৃতির কুশন এখন বেশ বিক্রি হচ্ছে। লম্বাটে জায়গায় বালিশ আকৃতির কুশন ভালো মানায়। কম্পিউটার বা পড়ার ঘরের চেয়ারে কোনাকুনি কুশন রাখতে পারেন। লিভিং রুমের একপাশের মেঝেতে ম্যাট বিছিয়ে দেয়াল ঘেঁষে রাখতে পারেন নানা আকৃতি ও রংয়ের কুশন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই দেখতে হবে মানানসই হয়েছে কিনা। ড্রয়িং রুমে ডিভান থাকলে ৩ থেকে ৪ আকৃতির মিশেলে কুশন ব্যবহার করা যেতে পারে। অনেকেই এখন ডাইনিং রুমের জন্য ফল আকৃতির কুশন ব্যবহার করে থাকেন। পাশাপাশি ফুলপাতাসহ বিভিন্ন রং বেরংয়ের কুশন ব্যবহার করলে ভালো লাগে। গাড়ির ভেতরে আরাম করতে ও সাজসজ্জার জন্য এখন অনেকেই কুশন ব্যবহার করে থাকেন। এসব ক্ষেত্রে সিল্ক অথবা ভারি কাজ করা কুশন ব্যবহার করলে ভালো হয়।

বাজারে অনেক ধরনের কাপড়ের কুশন কাভার পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে একটু ভালো মানের কাপড় বাছাই করা উচিৎ। এতে দামটা বেশি পড়লেও টেকসই হবে। এছাড়া নিজেই তৈরি করে নিতে পারেন পছন্দ অনুযায়ী কাভার। এক্ষেত্রে হাতে সূঁচ ও সুতার মাধ্যমে সেলাই করে নিতে পারেন বিভিন্ন নকশা। কুশনের কাভারে আলাদা কাপড় ডিজাইন অনুযায়ী কেটে লাগিয়ে দিলে বৈচিত্র পাওয়া যাবে।



মন্তব্য চালু নেই