‘সারাদেশের আওয়ামী নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা বিধানের ক্ষমতা পেটোয়া পুলিশ বাহিনীর থাকবে না। অতএব আগুন নিয়ে খেলা বন্ধ করুন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বর্তমান সরকারের ‘অনির্বাচিত এতিম’ মন্ত্রীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে এ মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ। গণমাধ্যমে মঙ্গলবার দুপুরে পাঠানো এক বিবৃতিতে হরতালের সময়সীমা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

বিবৃতিতে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী ও তার অনির্বাচিত এতিম মন্ত্রীদের হুঁশিয়ারি প্রদান করছি, শহীদ জিয়ার দল বিএনপি কোণো ভুঁইফোড় সংগঠন নয়। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। তাকে অপমানিত ও আক্রান্ত করার যেসব নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে তা যদি অবিলম্বে বন্ধ করা না হয়, তাহলে সারাদেশের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রের নির্দেশের অপেক্ষায় থাকবে না। সারাদেশের আওয়ামী নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা বিধানের ক্ষমতাও আপনার পেটোয়া পুলিশ বাহিনীর থাকবে না। অতএব আগুন নিয়ে খেলা বন্ধ করুন। রাষ্ট্রীয় নৈরাজ্যের প্রতিবাদে গড়ে ওঠা আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে জনগণ তাদের ব্যালটের অধিকার আদায় করবেই। গণতন্ত্র, মৌলিক ও মানবাধিকার পুনরুদ্ধার করবেই।’

বিবৃতিতে নৌমন্ত্রী শাহজাহান খানের বিরুদ্ধেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়। সালাহউদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এককালের মোটরশ্রমিক ও চোখ উপড়ানো পার্টির সদস্য নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় প্রকাশ্য ঘোষণা দেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার আবাসস্থলের বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির লাইন কেটে দেওয়ার এবং খাবার বন্ধ করে দেওয়ার। জাতি অবাক বিস্ময়ে দেখল, তার প্রত্যেকটি কথার বাস্তবায়ন করেছে সরকার। আমরা আরও বিস্মিত হয়েছি, সোমবার সেই মন্ত্রীর নেতৃত্বে অবরুদ্ধ দেশনেত্রীর গুলশান কার্যালয়ে হামলা করার মহড়া দেওয়া হয়েছে। সারাদেশের মতো আওয়ামী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নিজেদের সমাবেশে নিজেরা বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এর দায় বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘অবৈধ শাসকশ্রেণী হয়ত অনুধাবন করতে পারছে না, চলমান গণআন্দোলন গ্রাম-বাংলার ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে। বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের প্রত্যেক নেতাকর্মী আজ দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকারের বার্তা পৌঁছে দিয়েছে কৃষাণীর উঠান থেকে শুরু করে রাজধানীর গলিপথ পর্যন্ত।’

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বিবৃতিতে অভিযোগ করেন, ‘রাষ্ট্রক্ষমতার চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের নেশায় আওয়ামী লীগ গোটা জাতিকে আজ চরম শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে নিপতিত করেছে। অবৈধ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার ঘৃণ্য চক্রান্ত বাস্তবায়নে রাষ্ট্রযন্ত্রের চূড়ান্ত অপব্যবহারের এমন জঘন্য নজির মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে অবাধে হত্যার লাইসেন্স প্রদান করেও গণতন্ত্রকামী মানুষের ন্যায্য আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে ব্যর্থ হয়ে প্রধানমন্ত্রী এখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিভিন্ন কায়দায় হত্যার ষড়যন্ত্র করছেন।’