উদ্যোগ ব্যর্থ হলে পরিণতি ভয়াবহ : সাখাওয়াত

নাগরিক সমাজের উদ্যোগ ব্যর্থ হলে দেশের স্বাধীনতা-সাবভৌমত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেছেন, নাগরিক সমাজ এগিয়ে এসে যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা ব্যর্থ হলে পরিণত ভয়াবহ হবে।

শনিবার রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) ‘শান্তি-সম্প্রতি ও সমঝোতার’ দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এ উদ্বেগের কথা জানান তিনি। সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া মানববন্ধনে নাগরিক উদ্যোগ, ব্রতী, গণস্বাক্ষরতা অভিযান, কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম প্রভৃতি সংগঠন অংশ নেয়।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “রাজনীতিবিদরা যখন সমস্যা সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছেন, তখন নাগরিক সমাজ এগিয়ে এসে উদ্যোগ নিয়েছে। সরকার ও বিএনপির উচিত এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে একটি সমঝোতায় আসা। না হয় দেশের স্বাধীনতা-সাবভৌমত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে। পরিণতি ভয়াবহ হবে।”

রাজনীতি ক্রমেই রাজনীতিবিদদের হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে এই সাবেক নির্বাচন কমিশনার বলেন, এই অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই পুরোপুরি রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতছাড়া হয়ে যাবে, যা দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না।”

সুজনের সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “সারা দেশে রাজনীতির নামে মৃত্যুর কাফেলা চলছে। আর এই মৃত কাফেলায় দগ্ধ হয়ে মরছে সাধারণ মানুষ। আমরা এই অচলাবস্থায় দ্রুত সমাধান চাই। এর সমাধানের জন্য জরুরি একটি সংলাপ প্রয়োজন। সংলাপকে ফলপ্রসু করতে দুই দলকে এগিয়ে আসতে হবে।” তবে এ ক্ষেত্রে সরকারকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

রাষ্ট্রপতির কাছে সংলাপ আয়োজনের উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বদিউল আলম বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার ও নির্বাচনী ব্যবস্থার টেকসই সমাধানের জন্য একটি জাতীয় সনদের কোনো বিকল্প নেই।

মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন তত্ত্ববধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান, সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, সুজনের নির্বাহী সদস্য ড. হামিদা হোসেন, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, সুজনের সহসম্পাদক জাকির হোসেন, কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই