অ্যাম্বুলেন্স তৈরির হিড়িক
টানা অবরোধের কারণে ঠাকুরগাঁওয়ে হিড়িক পড়ে গেছে অ্যাম্বুলেন্স তৈরির। নাশকতা বেড়ে যাওয়ায় অ্যাম্বুলেন্সের চাহিদা বাড়ছে। তাছাড়া রোগী পরিবহনে অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া বাড়ানোর জন্যও বিপাকে পড়েছেন ভুক্তভোগীরা। এ কারণে অ্যাম্বুলেন্স বাড়াচ্ছে অনেক হাসপাতাল ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। তবে কেউ কেউ তাদের মাইক্রোবাসকেই অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহার করছে।
কাসেম হোসেন নামে এক যাত্রী জানান, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মা অসুস্থ হয়ে ভর্তি রয়েছে। তাকে দেখতে যাওয়ার জন্য দ্বিগুণ টাকায় অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের ভর্তি হওয়া সাদেক হোসেন জানান, আমার মেয়ে খুবই অসুস্থ। চিকিৎসক তাকে রংপুর রেফার করেছে। কিন্তু টাকার অভাবে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে পারছি না।
আরেক রোগীর অভিভাবক মালেক মিয়া জানান, রোগীদের সেবা না দিয়ে অবরোধে এখন অনেক অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। এতে রোগীদের দুর্ভোগ বেড়েছে।
মাইক্রোবাস চালক রফিকুল ইসলাম জানান, টানা অবরোধে একমাস ধরে বসে থাকতে হচ্ছে। কোনো ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু বর্তমানে নাশকতার কারণে জরুরি রোগী বেড়েছে। এ কারণে মাইক্রোবাসগুলোকে অ্যাম্বুলেন্সে পরিণত করা হচ্ছে।
অ্যাম্বুলেন্স চালক আব্দুল করিম জানান, অ্যাম্বুলেন্সের চাহিদা বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে ভাড়াও। তাই বেশি ভাড়ার আশায় অনেকে অ্যাম্বুলেন্স তৈরি করছে।
বেশি ভাড়া আদায়ের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবরোধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চলালে ভাড়া তো বেশি লাগবেই।
ঠাকুরগাঁও মোটর পরিবহন নেতা শাহাদাৎ হোসেন জানান, সদর হাসপাতালে রয়েছে মাত্র একটি অ্যাম্বুলেন্স। সেটা দিয়ে রোগীদের সেবা দেয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই কিছু প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স তৈরি করে রোগী ও যাত্রীদের সেবা দেয়া হচ্ছে।
মন্তব্য চালু নেই