‘পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে হত্যার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড’

সন্ত্রাস বিরোধী আইনে (২০০৯ ) পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে মানুষ হত্যাকারীর সর্ব্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। বৃহস্পতিবার এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ কথা বলা হয়েছে।

এ আইনে এসব সন্ত্রাসী কার্যক্রমে কোনো ব্যক্তি ও সংগঠনের সহযোগিতা প্রদানও কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত। এ ছাড়াও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সংবাদ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় উস্কানিমূলকভাবে প্রচারের জন্যও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, তদুপরি অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করারও বিধান রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট আইনের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ধারা এবং শাস্তির বিধান ‘বিএনপি-জামায়াতের তথাকথিত অবরোধ-হরতালের’ নামে চলমান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে দেশের জনগণের জ্ঞাতার্থে সংশ্লিষ্ট মিডিয়ায় প্রচারের জন্য তথ্য বিবরণীতে আহ্বান জানানো হয়।

তথ্য বিবরণীতে সন্ত্রাস বিরোধী আইন- ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারা-উপধারা প্রদত্ত হলো–

ক) কোনো ব্যক্তি পেট্রোল বা অন্য কোনো দাহ্য পদার্থ বা কোনো অস্ত্র সন্ত্রাসী কার্যে ব্যবহার করলে বা এ উদ্দেশ্যে নিজ দখলে রাখলে ইহার শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তদুপরি অর্থদণ্ড [ধারা-৬ (২) (উ)]

খ) কোনো ব্যক্তি পেট্রোল বা অন্য কোনো দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করে কোনো ব্যক্তিকে পুড়িয়ে হত্যা অথবা গুরুতর জখম করলে বা চেষ্টা করলে ইহার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও তদুপরি অর্থদণ্ড [ধারা-৬ (২) (অ)]।

গ) কোনো ব্যক্তি পেট্রোল বা অন্য কোনো দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করে কোনো ব্যক্তিকে পুড়িয়ে হত্যা অথবা গুরুতর জখম করার ষড়যন্ত্র বা সহায়তা বা প্ররোচিত করলে ইহার শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তদুপরি অর্থদণ্ড [ধারা-৬ (২) (আ)]।

ঘ) কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন উক্তরূপ সন্ত্রাসী কার্যে আর্থিকভাবে সহায়তা করলে ইহার শাস্তি ২০ বৎসরের কারাদণ্ড ও তদুপরি অর্থদণ্ড [ধারা-৭ (৩) (৪)]।

ঙ) কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন পেট্রোল বোমা বহনকারী বা প্রস্তুতকারী বা প্রয়োগকারী কোনো অপরাধীকে আশ্রয় প্রদান করলে ইহার শাস্তি ৫ বৎসরের কারাদণ্ড ও তদুপরি অর্থদণ্ড [ধারা-১৪ (১) (ক)]।

চ) পেট্রোল বোমা বা কোনো দাহ্য পদার্থ দ্বারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা বা যানবাহনে অগ্নিসংযোগকারী কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রমে উস্কানিমূলক সহায়তা প্রদানের নিমিত্ত যদি কোনো ইলেক্ট্রনিক বা প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচার করেন তাহলে ইহার শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তদুপরি অর্থদণ্ড ([ধারা-১৩]।

তথ্যসূত্র : বাসস



মন্তব্য চালু নেই