আপনারা গাড়ি সচল রাখবেন : স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, যারা নাশকতা করে তারা মাঠে থাকে না, হঠাৎ করে এসে পেট্রোলবোমা মেরে দ্রুত চলে যায়।

মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে উত্তরাঞ্চলের সকল বাস-ট্রাক মালিক সংগঠনের আয়োজনে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বোমা হামলায় ক্ষয়ক্ষতির দৃশ্য সারা বাংলাদেশ আজ দেখছে। জনগণকে রক্ষার জন্য জনপ্রতিনিধিদের আমরা সম্পৃক্ত করতে চাইছি। সমস্ত জেলা-উপজেলা ও বিভাগের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে একত্রে বসে এটা মোকাবেলা করা হবে। আপনারা গাড়ি সচল রাখবেন সে আহ্বান জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার কথা অনেক শুনেছি। তাঁর মধ্যে কোন দয়ামায়া নেই। নৈতিকতাও নেই। বিশ্ব ইজতেমার সময় তারা অবরোধ করেছে, হরতাল করেছে, ঈদে মিলাদুন্নবীর দিনও করেছে। সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা হচ্ছে এই এসএসসি পরীক্ষায়ও তারা হরতাল-অবরোধ রেখেছে। এখানে শুধু আওয়ামী লীগের সমর্থকদের ছেলে-মেয়ে নয়, এখানে বিএনপি-জাতীয় পার্টি ও সব দলের সমর্থকদের ছেলেমেয়েই আছে। তারা পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতিতে ছিল। কিন্তু বিএনপি চেয়ারপারসন ঘোষণা দিলেন হরতাল-অবরোধ চলবে। তার মানে ধ্বংস উনি আরো করবেন, আগুন আরো জ্বালাবেন, সেটার দৃশ্য সোমবার দিবাগত মধ্য রাতে আপনারা দেখেছেন। আপনারা যাতে নির্ভয়ে এই পরিবহন খাতটাকে ধরে রাখতে পারেন, সচল রাখতে পারেন সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটা জেলায় আমাদের পুলিশের একজন কন্টাক্ট পারসন আছে। তার নম্বর আপনাদের দেওয়া হবে। আপনাদের যখনই কাউকে সন্দেহ হবে তখনই আপনারা ওই নম্বরে ফোন করে সন্দেহভাজন ব্যক্তির সম্পর্কে তথ্য দেবেন। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

তিনি আরো বলেন, ‘আপনারা র‌্যাবকে মাঠে চেয়েছেন। তারা মাঠে আছে। আপনারা বিজিবির কথা বলেছেন, বিজিবি মাঠে থাকবে এবং দৃশ্যমানও রয়েছে। যেখানে যা প্রয়োজন অর্থাৎ আনসার, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও ডিবি রয়েছে, হা্ইওয়ে পুলিশ রয়েছে। তারা এই পরিবহন সচল রাখার জন্য সর্বত্রই কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া পুলিশ সদস্যরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮ ঘণ্টাই কাজ করছেন। উদ্দেশ্য একটাই, আপনাদের নিরাপত্তা দেওয়া।

সংসদ সদস্য আসলামুল হক অনুষ্ঠানে উপস্থিত গাড়ীর মালিকদের প্রত্যেককে একটি করে অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র দেন।

গাড়ী রাখার জন্য আলাদা জায়গা করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখছেন পার্কিং করা গাড়িতেও আগুন দেওয়া হচ্ছে। তাই গাড়ি নিরাপদে রাখার জন্য আলাদা জায়গা করা হচ্ছে।’

নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহিদুল হক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বিভিন্ন গাড়ী মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই