মঙ্গলবার গণভবনের সামনে অবস্থান : কাদের সিদ্দিকী
মতিঝিল ছেড়ে এবার গণভবনের সামনে অবস্থান নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, ‘রাতে বস্তা দিয়ে শরীর ঢেকে শুয়ে থাকি। ছামিয়ানা পুলিশ নিয়ে গেছে। যদি এখান থেকে তুলে দেয়, তাহলে আমি আমার বোনের (প্রধানমন্ত্রী) বাসার সামনে গণভবনে অবস্থান নেব। তবে ট্যাংক নিয়ে অবস্থান নেব না। আগামী সোমবার পর্যন্ত দেখব, যদি এর মধ্যে ডিস্টার্ব বন্ধ না হয় তাহলে মঙ্গলবার গণভবনের সামনে অবস্থান নেব।’
মতিঝিলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ৬ষ্ঠ দিনের মতো চলা অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে মঙ্গলবার দুপুরে তিনি এ সব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীকে সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণ ও বিএনপির চেয়ারপারসনকে অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে গত বুধবার থেকে অবস্থান নেন কাদের সিদ্দিকী।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘প্রত্যেকের একটা ভাবনা আছে, কিন্তু কোনো ভাবনা মিলছে না। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তো আমি নিরাপদে থাকতে পারি। ব্যারিস্টার তাপসের (ফজলে নূর তাপস) খালি অফিসের নিরাপত্তা দিতে যদি ছয় জন পুলিশ পাহারা দেয়, তাহলে আমার নিরাপত্তার জন্য তো তিনজন পুলিশ থাকতে পারে।’
এ মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘দুই নেত্রীর কাছে আর কোনোকিছু চাওয়ার নেই, আল্লাহ যেন তাদের হেদায়েত দান করেন।’
দেশের চলমান সহিংসতার জন্য দায়ী কারা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘এ দায় সরকারের। তারা কোনো কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। সরকারের প্রতি অসন্তোষের কারণেই তো এ সব ঘটনা ঘটছে। ৫ তারিখের নির্বাচন ভালো হলে তো আর এমন ঘটনা ঘটত না।’
চলমান অবস্থান কর্মসূচিতে কোনো দলকে ডাকবেন কিনা—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘জামায়াত ছাড়া সবার জন্য আমার দরজা খোলা। তবে জামায়াতের নতুন প্রজন্ম যদি ভুল স্বীকার করে কাছে আসে তাহলে ভেবে দেখব।’
তৃতীয় শক্তির উত্থানের সম্ভাবনার বিষয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘কোনো দেশে যখন নিয়ম-শৃঙ্খলা থাকে না, সততা নষ্ট হয়ে যায়, তখন মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। তৃতীয় শক্তি বলে কিছু নেই। যখন যারা পারেন তারাই প্রধান শক্তি।’
তিনি বলেন, ‘প্রশাসনকে যখন নিজের জমিদারির মতো ব্যবহার করা হয় তখন এর বিরূপ প্রভাব বা প্রতিক্রিয়া থাকে। ইতিহাস রয়েছে, যখন ক্ষমতা কমে যায় তখন বিবেকবান কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ হন। তখন সরকারি কর্মকর্তারা কথা শুনতে চান না। খালেদার সঙ্গে দেখা করলে যদি চাকরি যায়, তাহলে জনতার মঞ্চের কর্মকর্তাদের চাকরি যায় না কেন?’
কাদের সিদ্দিকীর অবস্থানে মঙ্গলবার সংহতি জানান বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মহাসচিব মেজর (অব.) মান্নান।
চলমান অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত রয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, কেন্দ্রীয় নেতা এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক হাবিব-উন নবী সোহেল, ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক রিফাতুল ইসলাম দ্বীপ প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই