ঝালকাঠি সাজাপ্রাপ্ত আসামী মনির পালানোয় জেলার সহ ৩ জন সাসপেন্ড ॥ কারারক্ষি ও স্থানীয় দোকানী সহ ২ জনের জামিন

ঝালকাঠি জেল থেকে সাজাপ্রাপ্ত আসামী মনির হোসেন পালানোর ঘটনায় এ পর্যন্ত জেলার শরিফুল ইসলাম ও দুই কারারক্ষি সহ ৩ জন কে সাসপেন্ড করা হয়েছে। চট্রগ্রামের থেকে গ্রেপ্তার করে আনা পালাতক আসামী মনিরের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অনুযায়ী গ্রেপ্তারকৃত কারারক্ষি আঃ খালেক ও জেলগেটের সংলগ্ন দোকানদান মিতু (২৫) কে গ্রেপ্তার করা হলেও আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেছে। অন্যদিকে এ ঘটনায় ইতিপূর্বে জেলার ও কারারক্ষী আঃ রব মিয়াকে সাসপেন্ড করা হলেও গতকাল কারারক্ষি আঃ খালেক কে নিয়ে বরখাস্তের সংখ্য ৩ জনে উন্নীত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে ডেপুটি জেলার ও বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত জেলার শাহআলম জানায়, ১৬ জানুয়ারী শুক্রবার চুরি মামলায় ৩ ছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী মনির পালানোর পর ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এডিএম জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন এবং বরিশাল ডিআইজি প্রিজন এর নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আর ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার বুলবুল আহমেদ বাদী হয়ে দ:বি: ২২৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের সহ ব্যাপক তদন্ত শুরু করা হয়। প্রায় ১৩ দিন পর ২৯ জানুয়ারী চট্টগ্রাম মেট্রপলিটান পুলিশ ডবলমুরাং থানা এলাকা থেকে আসামী মনির হোসেন কে আটক করতে সক্ষম হলে ৩০ জানুয়ারী শুক্রবার তাকে ঝালকাঠিতে আনা হয়।
তার দেয়া ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অনুযায়ী পালাতে সহযোগীতা ও অর্থ আদান-প্রদানের জড়িত অভিযোগে কারারক্ষি আঃ খালেক ও জেলগেটের সংলগ্ন বাসিন্ধা ও দোকানদান মিতু বেগম কে গ্রেপ্তার করে। আটকৃতদের আবেদনে রবিবার মিতু বেগম ও পরের দিন সোমবার কারারক্ষি আঃ খালেক আদালত থেকে জামিন লাভ করে। তবে কারারক্ষি আঃ খালেক কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বরিশাল ডিআইজি প্রিজন কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার বুলবুল আহম্মেদের সাথে আলাপকালে জানায়, সাজাপ্রাপ্ত আসামী মনির হোসেন পালানোর ঘটনায় ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার হিসাবে তিনি বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন যাতে মনিরকেই নামধারী আসামী করা হয়। এছাড়া জেলা প্রশাসকের তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত কার্যক্রম অনেকটা এগিয়ে আনলেও আসামী মনির ও তাকে সহযোগীতায় অভিযুক্ত আঃ খালেক ও মিতুকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করে সহসাই প্রতিবেদন দেয়া যাবে। তিনি আরো জানান, কারাঅধিদপ্তর এ ঘটনায় জেলার শরিফুল ইসলাম, কারারক্ষী আঃ রব মিয়ার পরে গতকাল কারারক্ষী আঃ খালেক সাসপেন্ড করেছে এবং তারাও শীগ্রই তাদের তদন্ত সম্পন্ন করতে পারবেন বলে ধারনা করা যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত বর্তমানে ঝালকাঠি কারাগারে ধারন ক্ষমতা রয়েছে ১৫৫ জন কিন্তু হাজতী ও কয়েদী মিলিয়ে অবস্থান করছে ২শ ৮২জন। তাদের নিরাপত্তা ও কারাগারের দায়িত্ব পালনের জন্য আসামীর সংখ্যা অনুপাতে কারারক্ষী প্রয়োজন ৮৭ জন কিন্তু বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছে প্রায় ৩ ভাগের ১ভাগ মাত্র ৩১ জন।



মন্তব্য চালু নেই