» ফলো আপ :

মিরপুরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত এমদাদ শিবির সভাপতি

মিরপুর বেড়িবাঁধে বন্দুকযুদ্ধে নিহতের পরিচয় মিলেছে। তার নাম এমদাদ উল্লাহ (২০)। তিনি ছাত্রশিবিরের (ঢাকা মহানগরী পশ্চিম) শাহ আলী থানার ৯৩ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। তবে পুলিশ এখনও তার পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি।

শাহ আলী থানার এসআই আব্দুল আজিজ জানান, শনিবার রাত ৩টা ৩৭ মিনিটে মিরপুর বেড়িবাঁধ এলাকার এনা প্রপার্টিজের সামনে জামায়াত-শিবিরের নিজেদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে ওই যুবক নিহত হন। মিরপুর থানা পুলিশ পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শাহ আলী থানায় হস্তান্তর করে। ভোরে লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ ব্যাপারে মিরপুর থানার এসআই মাসুদ পারভেজ জানান, শনিবার সন্ধ্যায় মিরপুর মডেল থানা পুলিশ শিবিরের ওই নেতাকে আটক করে। পরে রাতে তাকে নিয়ে মিরপুর মডেল থানার এসআই কামাল আসামি ধরতে ও বিস্ফোরক উদ্ধারে অভিযানে যান। গভীর রাতে রূপনগর বেড়িবাঁধের এনা প্রপার্টিজের সামনে পৌঁছালে ওত পেতে থাকা দুর্বত্তরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় দুর্বৃত্তদের গুলিতে তার মৃত্যু হয়। এমদাদের বিরুদ্ধে আগে থেকে মামলার কথা জানাতে পারেননি তিনি।

এদিকে পরিবারের দাবি এমদাদকে সন্দেহজনক আটকের পর শনিবার গভীররাতে রাজধানীতে পুলিশ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। নিহত এমদাদ জামালপুর সদর উপজেলার বানারিপাড়া গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি ঢাকা কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষে পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তিনি তিন ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে ষষ্ঠ।

অন্যদিকে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগ জানিয়েছে, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর মিরপুর-৬ নম্বরে বাসার সামনে থেকে মিরপুর থানা পুলিশ এমদাদ উল্লাকে আটক করে। পরে তাকে নিয়ে বিভিন্ন মেসে অভিযান চালায়। এসময় মেস থেকে আরো নয়জনকে আটক করা হয়। পরে গভীররাতে তাকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ।

শিবিরের দাবি, হত্যার দায় এড়াতে এমদাদ উল্লাহর মরদেহ রূপনগর থানায় হস্তান্তর করে পুলিশ। আর রূপনগর থানা তার লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে রেখে চলে আসে।



মন্তব্য চালু নেই