পুরুষের চেয়ে নারীর আইকিউ বেশি!

অন্তঃপুরের অধিবাসী নারীর তুলনায় পুরুষের আইকিউ বা উপস্থিত বুদ্ধি বেশি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু গত এক শতাব্দীতে সে তত্ত্বের পরিবর্তন ঘটেছে। এক শতাব্দী আগে নারী-পুরুষের আইকিউ নিয়ে গবেষণা হয়েছিল। তখনকার চেয়ে এখন নারীরা পুরুষের তুলনায় মাত্র ৫ পয়েন্টে পিছিয়ে আছে। ফলে নারী-পুরুষের বুদ্ধির ফারাক কমে চলেছে।
নিউজিল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব ওটাগোর পলিটিক্যাল স্টাডিজের এমিরিটাস প্রফেসর জেমস ফ্লিন আইকিউ পরীক্ষার জন্য সারা বিশ্বে খুব পরিচিত একটি নাম। সম্প্রতি তার করা গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। তিনি বলছেন, গত একশ বছরে নারী ও পুরুষের আইকিউ বেড়েছে। কিন্তু নারীদের দক্ষতা বেড়েছে বেশি দ্রুত।
নারীর আইকিউ বাড়ার কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন আধুনিকতাকে। আধুনিক বিশ্বের জটিল জীবনধারা আমাদের ব্রেনে প্রভাব ফেলে প্রত্যক্ষভাবে। এতে আমাদের আইকিউ বেড়ে যায়। কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে সেই দক্ষতা অনেক বেশি বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, অতীতে নারী পিছিয়ে ছিল, তাই পিছিয়ে থাকার কষ্টটা অনুভব করতে পারে কিন্তু পুরুষ তা পারে না। নারী সব সময় তাদের এগিয়ে নিতে সচেষ্ট। পুরুষ শাসিত সমাজ তাদের কখনো মাথা তুলে দাঁড়াতে দেয়নি। তাই তারা নিজেদের যোগ্য করে তুলতে খুব বেশি আগ্রহী। লিঙ্গের বৈষম্যে লেখাপড়ার সুযোগ কম, পারিবারিক সহয়তার অভাব এবং সামাজিক চলাফেরায় প্রতিব্ন্ধকতা নারীদের আরও বেশি আগ্রহী করে তুলতে সাহায্য করেছে। ফল হিসেবে নারী তাদের এগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে।
আমাদের দেশের বোর্ড পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষাগুলোয় জেমস ফ্লিনের এই তত্ত্বের প্রমাণ মিলছে অহরহ। প্রতিটি পরীক্ষায় সেরা ফল করে চলেছে আজকের নারী।



মন্তব্য চালু নেই