খালেদার দুর্নীতির দুই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ২৫ ফেব্রুয়ারি

বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

পুরান ঢাকার বকশীবাজার এলাকায় আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অবস্থিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দার বৃহস্পতিবার এ দিন ধার্য করেন।

এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন বৃহস্পতিবার ধার্য ছিল। খালেদা জিয়া হরতাল-অবরোধে নিরাপত্তাজনিত কারণে আদালতে হাজির হতে না পারায় এবং বিচারকের বদলি চেয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন শুনানীর অপেক্ষায় থাকায় তার আইনজীবী এ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবা সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি রাখার জন্য সময়ের আবেদন করেন।

সময়ের আবেদনের শুনানীতে খালেদা জিয়ার অপর আইনজীবী এ্যাডভোকেট মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার বলেন, ‘মহামান্য আদালত আপনি জানেন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো অকালে মৃত্যুবরণ করেছেন।শোক নিয়ে আমাদের শুনানী করার মানসিকতা একদমই নেই।আমরা সবাই শোকাহত তাই আপনি একটা সময় দেন।’

অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ছোট ছেলের অকাল মৃত্যুবরণ করায় আমরা গভীর ভাবে শোকাহত।আমরা আসামি পক্ষের বক্তব্যের সঙ্গে একমত । আপনি যা ‍আদেশ দেবেন আমরা তাই মেনে নেব।’

বিচারক উভয় পক্ষের শুনানী শেষে বলেন, ‘আমি আবু আহমেদ জমাদ্দার এবং আমার পরিবার খালেদা জিয়ার ছেলের মৃত্যুতে গভীর শোকাহত। শোকাহত পরিবারকে সমবেদনা জানাই।’

খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আমার সমবেনা আপনারা ম্যাডামের কাছে পৌঁছে দেবেন।আপনাদের সবাইকে দেখে মনে হচ্ছে আপনারা শোকাহত।তাই আজকে সময়ের আবেদন মঞ্জুর করলাম।’

চলতি বছরের ১৯ মার্চ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় খালেদা জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ বাসুদেব রায়।

মামলার এজহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ।

এ মামলার অপর আসামীরা হলেন-খালেদার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

অপরদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় আরও একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ।

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া এ মামলার অন্য আসামীরা হলেন—মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।



মন্তব্য চালু নেই