সংলাপের বিষয় এড়িয়ে গেলেন স্পিকার
চলমান সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকার ও মাঠের বিরোধী দল বিএনপিকে নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ নেয়ার বিষয়টি এড়িয়ে গেলেন স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী। আলোচনার পরিবর্তে তিনি সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও পেট্রোল বোমা বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললেন।
স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
চলমান সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকার ও বিএনপিকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানাবেন কি না সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে স্পিকার বলেন, ‘এই মুহূর্তে সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, পেট্রোল বোমা বন্ধে সুদৃঢ় অবস্থান নিচ্ছি।’ একই সঙ্গে তিনি নিরীহ মানুষদের ওপর সহিংসতা বন্ধের দাবি জানান।
স্পিকার বলেন, ‘এরকম পরিস্থিতিতে এসে ২২ জন অগ্নিদগ্ধ ভাইবোনকে আমাদের দেখতে হবে, এটা কখনো ভাবিনি। এটা বেদনাদায়ক ও কলঙ্কজনক অধ্যায়। এখানে ৪৪ জন রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এর ভেতর ২ জন মারা গেছেন।’
তিনি বলেন, ‘যারা বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন তাদের বেশির ভাগই দিনমজুর, রিক্শাচালক খেটে খাওয়া মানুষ। জীবনের তাগিদেই তারা ঘরের বাইরে বের হয়েছেন।’
স্পিকার বলেন, ‘বার্ন ইউনিটে ৩ ও ৭ বছরের শিশুও রয়েছে। এছাড়া রয়েছে ইডেন কলেজে ভর্তি হতে আসা একছাত্রী। তার দুটি পা’ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটা অত্যন্ত নৃশংস ও কলঙ্কজনক অধ্যায়।’
এ ধরনের সহিংসতা ও সন্ত্রাস ‘কোনো রাজনীতি হতে পারেন না’ বলে তিনি মস্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘এভাবে প্রত্যেকটা বিবেকবান মানুষকে সহিংসতা বন্ধে উদ্যোগ নিতে হবে।’
‘বর্তমানে সরকার ও বিরোধী দল বিপরীতমুখি। রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। এ অবস্থায় আপনি পদত্যাগ করবেন কি না’ এমন এক প্রশ্নও এড়িয়ে গিয়ে শিরিন শারমিন বলেন, ‘প্রত্যেকটি দেশেই রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থাকে। দেশ সেই প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যায়। তার জন্য কী আগুন দিয়ে মানুষ মারবো? কেন? আমাদের কী কোনো সমাধানের পথ নেই?’ তিনি এই মহূর্তে পেট্রোল বোমা ছোঁড়া বন্ধের আহ্বান জানান।
সাবেক আইনমন্ত্রী আবব্দুল মতিন খসরু, সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী সেলিম এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য চালু নেই