ঝিনাইদহের কিছু খবর :
ঝিনাইদহে হরতাল পালিত সমর্থনে খন্ড খন্ড ঝটিকা মিছিল নাশকতা আশংঙ্কায় ৯ বিএনপি-জামায়াত কর্মী আটক
কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চলমান অবরোধের মধ্যে ঝিনাইদহে ২০ দলীয় জোটের ডাকা ৪৮ ঘন্টার হরতাল চলছে।সকাল থেকে অন্যানো দিনের মত ছেড়ে যায়নি দুরপাল্লার কোন যানবাহন। বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার দোকান পাট, ব্যাংক বীমা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
হরতাল সমর্থনে সকালে শহরের চুয়াডাঙ্গা, আরাপপুর ও উজির আলী স্কুলের সামনে থেকে খন্ড খন্ড বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এসময় পুলিশ আসলে বিক্ষোভ কারীরা পালিয়ে যায়। এছাড়াও সকাল থেকে জেলার কোথাও কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি। জেলায় যেকোন প্রকার নাশকতা এড়াতে শহরের গুরুত্বপুর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। সেই সাথে র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের, গ্রেফতার ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং নিঃশর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ মঙ্গলবার এ হরতালের ডাক দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।এদিকে পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৯ বিএনপি ও জামায়াত কর্মীকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে সদরে ২ জন, মহেশপুরে ২জন, হরিণাকুন্ডুতে ২ জন ও শৈলকুপায় ২ জন এবং কালীগঞ্জ থেকে ১ জনকে আটক করা হয়।
হরিণাকুন্ডু স্টেশন ছেড়ে ফায়ারম্যান সাজেদুর শৈলকুপার কাইজ্যার মাঠে!
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ষ্টেশনের ফায়ারম্যান সাজেদুর রহমানের বিরুদ্ধে অফিস ফাঁকি দিয়ে অহরহ গ্রামের বাড়ি শৈলকুপার চরমৌকুড়ী এলাকায় দাঙ্গা-হাঙ্গামায় যোগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি কারণ অকারনে ছুটি বিহীন বাড়িতে এসে রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের মারামারিতে যোগ দেয় বলে গ্রামবারি অভিযোগ।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একেবারেই নিশ্চুপ। অভিযোগ উঠেছে হরিণাকুন্ডু ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ষ্টেশনের ফায়ারম্যান সাজেদুর রহমান (ফেলু) বিনা ছুটিতে বাড়ি এসে কাইজ্যার মাঠে মারামারিতে লিপ্ত থাকেন। সম্প্রতি সময়ে শৈলকুপার সারুটিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে রাজনৈতিক মারামারিতে তাকে যোগ দিতে দেখা গেছে। সরকারী শৃংখলাপুর্ন একটি বাহিনীতে চাকরী করে এ ধরণের মারামারিতে যোগ দিতে কেও নিষেধ করলে তার উপর চরাও হয় এবং তার বড় ভাই বিভিন্ন মামলার আসামী সন্ত্রাসী বাদশা কে দিয়ে তাদের হুমকি দেয়।
গত ১৯ জানুয়ারী সোমবার বিকালে বিনা ছুটিতে বাড়ি এসে এলাকার আধিপত্য বিস্তারের মারামারিতে যোগ দেয়। অভিযোগ পেয়ে তার অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাজেদুর রহমান সোমবার দুপুর থেকেই অফিসে নেই। তবে কি কারনে স্টেশনে নেই সে বিষয়ে ফায়ারম্যান ফেলু মুখ খুলতে নারাজ।
বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছ থেকে জানতে পেরে সাজেদুর তার ভাই বাদশাকে দিয়ে তথ্য সংগ্রহকারীকে হুমকি দেন। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ অফিসের ডিএডি আব্দুল হালিম জানান, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য চালু নেই