‘জাতিসংঘকে সতর্কতার সঙ্গে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত’
সংঘাতপূর্ণ দেশের সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘকে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
মঙ্গলবার রাজধানীর কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের কনফারেন্স হলে জাতিসংঘের শান্তি মিশন সংক্রান্ত উচ্চপর্যায়ের দুই দিনব্যাপী সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ দেশের সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘ ঐতিহ্যগতভাবে পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। কিন্তু কোনো দেশের সংঘাতময় পরিস্থিতি নিবারণে জাতিসংঘকে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। যাতে জাতিসংঘের ন্যায়-নীতি এবং ন্যায্যতার পরিপন্থী না হয় এবং শান্তি মিশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য শতভাগ বজায় থাকে।’
এদিকে গত শুক্রবার বাংলাদেশে অব্যাহত রাজনৈতিক সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন। এ সংঘাতকে উদ্বেগজনক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন মানবাধিকার কমিশনের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি। জেনেভায় এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশসহ এশিয়া অঞ্চলের সফলতা তুলেধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী বলেন, ‘বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং হানাহানি প্রতিরোধ নিশ্চিত করতে এশিয়া অঞ্চল জাতিসংঘের শান্তি মিশনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে।’
তিনি বলেন, শান্তি মিশনে অংশ নেওয়া মোট শান্তিরক্ষীদের মধ্যে ৪০ শতাংশ সেনা এবং ৩৩ শতাংশ পুলিশই এশিয়া অঞ্চলের। এই অঞ্চলের শান্তিরক্ষীরা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সংঘাতময় পরিস্থিতির অবসানে, এমনকি পরিবর্তনশীল পরিবেশে উদ্ভূত পরিস্থিতির সমাধানে চ্যালেঞ্জের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। আন্তর্জাতিক শান্তি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে এ অঞ্চলের কর্মীরা দায়িত্ব এবং মূল্যবোধ সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডের জন্য শান্তি মিশনে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে এবং প্রশংসিত হচ্ছে।’
দুই দিনব্যাপী এ সেমিনারে বাংলাদেশ ছাড়াও মিয়ানমার, নেপাল, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, চীন, ফিজি, ভিয়েতনাম, নিউজিল্যান্ড এবং ফিলিপাইন অংশ নিয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক, সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জে. আবু বেলাল মুহাম্মদ শফীকুল হকসহ সংশ্লিষ্টরা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য চালু নেই