সোমবার শাপলা চত্বরে হেফাজতের পতাকা মিছিল
সোমবার রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে ‘কালেমা খচিত পতাকা হাতে গণমিছিল’ কর্মসূচি দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। সোমবার বিকালে শাপলা চত্বর থেকে এই মিছিল বের হবে। গত বছর ৫ মে হতাহতদের স্মরণে এবং ১৩ দফা দাবির সমর্থনে এ কর্মসূচি দিয়েছে তারা।
শাপলা চত্বরের ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে দেশব্যাপী নাশকতার আশঙ্কা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এই দিনকে উপলক্ষ করে হেফাজতে ইসলামকে জামায়াত-শিবির ইন্ধন দিচ্ছে বলে গোপন তথ্য পেয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। এ নাশকতা প্রতিরোধে নজরদারি বাড়িয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সোমবারের শাপলা চত্বরের গণমিছিলে হেফাজতের নায়েবে আমীর বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা আহমদ উল্লাহ আশরাফের নেতৃত্ব দেয়ার কথা রয়েছে। গণমিছিলের জন্য ইতোমধ্যে ডিএমপির কাছ থেকে অনুমতি চাওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
ঢাকা ছাড়াও ৫ মে স্মরণে চট্টগ্রামের হাটহাজারী কলেজ ময়দানে ইসলামী মহাসম্মেলনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দোয়া মাহফিল কর্মসূচি পালন করা হবে। হাটহাজারী কলেজ মাঠের সমাবেশে হেফাজত আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফীর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী এসব কর্মসূচির কথা জানান।
৫ মে শাপলা চত্বরের ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে হেফাজতে ইসলামকে জামায়াত-শিবির ইন্ধন দিচ্ছে বলে গোপন তথ্য পেয়েছে পুলিশ। এ ক্ষেত্রে হেফাজতে ইসলাম তাদের ফাঁদে পা না দিলে হেফাজতের নাম করে নাশকতাও চালাতে পারে জামায়াত-শিবির।
আর এ নাশকতা প্রতিরোধে চট্টগ্রামের মাদ্রাসাগুলোতে নজরদারি বাড়িয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। হেফাজত নেতারা অবশ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, তারা কারো ইন্ধনে প্ররোচিত হবেন না। কোনো সহিংস কর্মসূচি তারা পালন করবেন না।
এদিকে দিনটিকে সামনে রেখে রাজধানীসহ সারা দেশে পুলিশকে সতর্ক রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বনজ কুমার মজুমদার বলেন, যে সমস্ত দল বা সংস্থা তাদের ব্যবহার করেছিল, আজকের দিনটিকে কেন্দ্র করে তারা আবার মাঠে নামতে পারে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে। নাশকতার তথ্যও রয়েছে পুলিশের কাছে।
উল্লেখ্য, নাস্তিক মুরতাদদের মৃত্যুদণ্ডের আইন প্রণয়নসহ ১৩ দফা দাবির সমর্থনে গত বছরের ৫ মে ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচি আহ্বান করে হেফাজতে ইসলাম। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সেদিন দুপুরে মতিঝিল শাপলা চত্বরে সমাবেশ চলাকালে মতিঝিল থেকে পুরানা পল্টন ও বায়তুল মোকাররম পর্যন্ত বিশাল এলাকাজুড়ে ব্যাপক ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে যা মধ্যরাত পর্যন্ত চলতে থাকে। পুলিশের সাথে হেফাজতের সংঘর্ষের ঘটনায় সরকারিভাবে ১১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। আর বিভিন্ন থানায় ৪০টির বেশি মামলা হয়।
মন্তব্য চালু নেই