কাছের মানুষকে চাপমুক্ত করতে চান?
কথায় আছে, ‘সুস্থতায় সকল সুখের মূল’। কিন্তু কখনো কখনো কথাটিকে ছাপিয়ে যায় কাছের মানুষের কষ্টে থাকাটা। তার হাসিমুখ না দেখলে আপনার সব সুখ ধুলিস্যাৎ হয়ে যায়। নিজের মনের মধ্যেই কোথায় যেন বাসা বাঁধে বিষণ্নতা। তাই প্রিয় মানুষের ভালো থাকাটা আপনার কাছে খুবই জরুরি। তাই কাছের মানুষকে চাপমুক্ত করতে দরকার সামান্য কৌশলী হয়ে ওঠা।
গুরুত্বের সঙ্গে তার কথা শোনা
আপনার সঙ্গী হয়তো একটু চাপা স্বভাবের বা খোলামেলা। খোলামেলা হলে তার মনের কথা বের করতে সহজ হবে। কিন্তু চাপা স্বভাবের হলে একটু কষ্ট করেই তার মনের কথা বের করে আনুন। গুরুত্বের সঙ্গে তার কথা শুনুন। যুক্তিশীল পরামর্শ দিতে থাকুন। তার বিসয় নিয়ে আপনার উৎকণ্ঠা অনেকটাই স্বস্তি এনে দেবে।
দোষারোপ নয়
মন ভারি থাকলে সঙ্গীর সব জানার পর তাকে মোটেও দোয়ারোপ করা যাবেনা। তাই বলে অপর পক্ষকেও দোয়ারোপ করে তাকে ভুলের রাজ্যে ডুবিয়ে দেবেন না। আপনি বুঝতে পারলেও তার কোনো দোষ আপনার চোখে পড়েছে সেটা বুঝতে দেয়া ঠিক হবে না। নিরপেক্ষ থেকে বিবাদের বিষয় নিয়ে আলোচনা করুন। সঙ্গী বুদ্ধিমান হলে অবশ্যই নিজের ভুলের জায়গা থেকো সরে আসবে।
জোরাজুরি নয়
মন খারাপ থাকলে সঙ্গীকে কখনো জোরাজুরি করা ঠিক হবে না। বারবার তার মন খারাপ কিনা তা জানতে চাওয়াও একধরনের নীপিড়ন। তাকে বেশি খাতির করে অযথা বকবকানিও তার কাছে অস্বস্তির। তাই সঙ্গী একা থাকতে চাইলে অবশ্যই সে সুযোগ করে দিন। তবে তার যথার্থ প্রয়োজনের দিকে আপনাকে নজর রাখতে হবে। তার আশেপাশেই থাকুন। আর যদি অস্বস্তির কারণ আপনি নিজেই হন, তাহলে তার ঝাড়ি মেনে নেয়ার চেষ্টা করুন। নিজের ভুল শুধরে আচরণে পরিবর্তন আনুন।
বেড়াতে যান
যদি বাইরের কোনো ঝামেলায় সঙ্গীর মন খারাপ থাকে, তাকে বদ্ধ হাওয়া থেকে বের করে বেড়াতে নিয়ে যান। পারলে বাইরে কোনো রেস্টুরেন্টে খেতে পারেন। মজার বা হাসির কোনো জিনিসের প্রতি তাকে উদ্বুদ্ধ করুন। দেখবেন সঙ্গীর মন ভালো হয়ে গেছে।
মন্তব্য চালু নেই