আতঙ্কে পুলিশ!

বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের অবরোধ ও হরতালে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা আতঙ্কে রয়েছেন। কখন কে কোথা থেকে ককটেল বা হাতবোমা ছুড়ে দেয়, তা জানা যাচ্ছে না। মুহুর্তেই ভয়াবহ বিপদের আশঙ্কা বিরাজ করছে পুলিশ সদস্যদের মাঝে। নানা ঝুঁকি নিয়েই দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। গত কয়েকদিন ধরে অবরোধ ও হরতালে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা।

এদিকে, এর আগে বিএনপি-জামায়াতের টানা হরতাল-অবরোধে পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাংচুর এমনকি পুলিশ সদস্যদের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে তাদের বেদম মারপিটের ঘটনাও ঘটেছে। এসব ঘটনায় নিহতও হয়েছেন অনেক পুলিশ সদস্য। এবার নতুন করে অবরোধ ও হরতাল শুরু হওয়ায় আতঙ্ক কাটছে না পুলিশের মধ্যে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন এসআই জানান, ডিউটি শেষে বাসায় ফেরার আগে থানাতেই পুলিশের পোশাক খুলে সাদা পোশাকে বের হন তারা। ডিউটি-সময়ের বাইরে সাধারণ মানুষের জটলা থেকেও দূরে থাকেন তারা। একই অবস্থা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও। তবে নিম্নশ্রেণির কর্মকর্তা বা কনস্টেবলদের অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে জামায়াত-শিবির যে কোনো মুহূর্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর স্থাপনা, থানা ও ফাঁড়িতে হামলা করতে পারে। হামলা এড়াতে প্রতিটি থানায় প্রধান ফটক রাতে বন্ধ রাখা হয়। পকেটগেট দিয়ে যাতায়াত করেন পুলিশ সদস্যরা। এছাড়া থানার বাইরে ও ভেতরে সতর্ক অবস্থায় দায়িত্ব পালন করেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

জানা যায়, একজন পুলিশ সদস্যকে সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ডিউটি করতে হয়। এই ১২ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করেন প্রধানত থানার ডিউটি অফিসাররা। এই দায়িত্বের বাইরে যারা এলাকায় দায়িত্ব পালন করেন, তাদের সকাল আটটায় ডিউটি শুরু হয়, রাত আটটায় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আসামি গ্রেপ্তার, ডিউটি এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত হওয়া পর্যন্ত তাকে আরো অনির্দিষ্ট সময় ডিউটি করতে হয়।

হরতাল অবরোধের দিন ভোর পাঁচটা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত ডিউটি থাকলেও রাত আটটার আগে তারা বাসায় ফিরতে পারেন না। এছাড়া পুলিশ কনস্টেবলদের ডিউটি আরো বেশি।

তাদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ভোর ছয়টায় দায়িত্ব পালন শুরু হলে রাত আটটায় শেষ হয়। কিন্তু দায়িত্বশীল কর্মকর্তা তাদের বুঝে না নেওয়ায় মধ্যরাত পর্যন্ত থানায় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে তাদের।



মন্তব্য চালু নেই