৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন ॥ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শ্বশুর আটক

ঝালকাঠি কারাগারে জেলারের বাসার সিড়ি দিয়ে পলায়ন করেছে সাজাপ্রাপ্ত এক আসামী !

ঝালকাঠি জেলখানা থেকে মনির হোসেন (৪০) নামে এক সাজাপ্রাপ্ত আসামী পালিয়েছে। শুক্রবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের সময় ভিতরের পাইপ বেয়ে জেলারের বাসার উপরে উঠে সিড়ি বেয়ে নেমে যায়। খবর পেয়ে বরিশালের ডিআইজি প্রিজন মোঃ আলতাফ হোসেন, ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সহ উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তারা কারাগারে ছুটে আসে ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নলছিটি (ফেরীঘাট) ফুলহরি গ্রাম থেকে মনিরের শ্বশুর ঘটক সাখাওয়াত হোসেন কে আটক করে ঝালকাঠিতে আনা হয়েছে।
ঝালকাঠি জেল সুপার মো. শফিক জানান, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সাফা গ্রামের মৃত জয়নউদ্দিন হাংয়ের পুত্র মনির হোসেন তার শ্বশুর বাড়ী নলছিটি উপজেলার ফুলহাড়ি গ্রামের সাখাওয়াত হোসেনের মেয়ে বিয়ে করে শ্বশুরালয়ে বসবাস করছিল। কয়েক বছর পূর্বে ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিলায় ম্যজিট্ট্রেট মো. শাহিদুল ইসলাম তাকে নলছিটি থানার চুড়ি মামলায় দ:বি: ৩৮০/৪৫৭ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৩ বছর সাজা প্রদান করেন। ২০১৪ সালের ১৪ মে আদালতে আত্মসমর্পন করলে কারাগারের কয়েদী নং ৩০৮৫/এ নাম্বারে ৫নং ওয়ার্ডে রাখা হয়। তাকে গ্রেফতার করার চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারা সূত্র জানায়, শুক্রবার সকালে মনির জেলখানার ভিতরের পাইপ বেয়ে কারাগার সংলগ্ন জেলারের বাসার উপরে উঠে ও সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে পালিয়ে যায় বলে তাদের ধারনা। অপর এক সূত্র জানায়, সাজাপ্রাপ্ত আসামী মনির দিয়ে জেলখানায় গুরু পালন করা হতো। প্রতিদিনের ন্যায় সে কারাগারের প্রধান গেটের সম্মুখের মাঠে গরুর নিয়ে ঘাস খাওয়ানোর জন্য বেড়িয়ে পালিয়ে যায়।
পরিদর্শন করে বেড়িয়ে যাওয়ার সময় ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক শাখাওয়াত হোসেন জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে সরজমিন পরিদর্শন শেষে আমরা বিষয়টি উদঘাটনের জন্য ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ জহিরুল ইসলাম কে প্রধান করে জেলা সুপারেন্টেন্ড বুলবুল আহম্মেদ, এএসপি সার্কেল আফম আনোয়ার হোসেন ও গনপূর্ত নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম কে কমিটির দালিত্ব প্রদান করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মজিদ আলি বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় ভোর ৬ টায় আমদানিতে আনার পর গননা শেষে একজন কম হলে সাজাপ্রাপ্ত আসামী মনির হোসেন পালানোর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে আমরা প্রাথমিক ভাবে শুনেছি। কিভাবে সে পালিয়ে গেল তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের পর ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।

 

ঝালকাঠী বিস্ফোরক আইনে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল মামলায় বিএনপির-৭ নেতাকর্মীর জামিন

ঝালকাঠীর উপজেলা নির্বাচন কালে আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থীর সমর্থকের দায়ের করা বিষ্ফোরক আইনে মামলায় যুবদল, ছাত্রদল, পোনাবালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির ১৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় ৭ নেতাকর্মীর জামিন প্রদান করেছে আদালত। বিশেষ ট্রাইবুনাল আদালতের (নং-১৫/১৪ ইং, জি.আর-৫৫/১৪) নামধারী ১৮ সহ অজ্ঞতনাম ৮/১০ জনওে বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে আবেদন জানালে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

উপজেলা নির্বাচন কালে দায়ের হওয়া এ মামলাটি তদন্ত শেষে পুলিশ ১৯০৮ সনের বিষ্ফোরক আইনের ৩-ধারায় সকল আসামীকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট দাখিল করা করেন। এ অবস্থায় মামলার ৯ আসামী বুধবার স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিন আবেদন জানালে আদালত তাদের জামিন প্রদান করেন। পরের দিন একই আদালতে আরো ৭ জন আত্মসমার্পন করে জামিনের আবেদন জানালে বিচারক জেলা ও দায়রা জজ এস.এম সোলায়মান আসামী শহর যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক আল মাকসুদ কলিন্স, যুবদল নেতা মোঃ মঞ্জুর ইসলাম মঞ্জু, মোঃ জাকির, মোঃ কাজল ও ছাত্রদল নেত মোঃ জামাল, সহ ৭ জন নেতাকর্মীর জামিন মঞ্জুর করেন। আসামী পক্ষে এ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মুবিন সহ বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আপর দিকে রাষ্ট্র পক্ষে পিপি আঃ মান্নান রসুল শুনানিতে অংশগ্রহন করেন।#

 

দু’দিনের ব্যবধানে ঝালকাঠীতে
আরো একজনের ইসলাম ধর্মগ্রহন
ঝালকাঠী জেলার নলছিটি উপজেলাধীন ষাটপাকিয়া এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বি গৈতম মাঝি (২৩) স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছেন। বৃহস্পতিবার ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক আরিফুল ইসলামের আদালতে স্বশরীরে হাজির হয়ে এভিডেবিট প্রদানের মাধ্যমে মৃত সুবল মাঝির পুত্র গৈতম মাঝি ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে মোঃ ওমর ফারুক নাম ধারন করেন। মাত্র দু’দিন আগে ঝালকাঠির গাবখান-ধানসিড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম বিন্নাপাড়া গ্রামের সনাতন (হিন্দু) ধর্মাবলম্বী একই পরিবারের ৪ জন মঙ্গলবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এভিডেভিট প্রদানের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মগ্রহন করেছেন।
এভিডেবিটে উল্লেখ করা হয়েছে, নওমুসলিম মোঃ ওমর ফারুক স্বেচ্ছায়-স্বজ্ঞানে কোন হলফনামা প্রদান করছেন যে সে দীর্গ দিন ধরে ইসলাম ধর্ম নিবির ভাবে পর্যবেক্ষন, যাচাই-বাছাই ও ইসলামী রীতিনীতিতে আকৃষ্ট হওয়ায় সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছেন। আদালত হলফনামা মঞ্জুর হওয়ার পর নওমুসলিম মোঃ ওমর ফারুক কে বিশিষ্ট ইসলামী দার্শনিক মরহুম হযরত মাও: কায়েদ ছাহেব হুজুর রা: এর নেছারাবাদ কম্পেলেক্সে উপস্থিত করা হলে মাওলানা খলিলুর রহমান নেছারাবাদী হুজুরের কাছে কলেমা পাঠ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহনের কার্য সম্পন্ন করেন। তরুন এ্যাডঃ মিজানুর রহমান মুবিন আদালতে এভিডেবিটের পক্ষে শুনানীতে অংশ গ্রহন করেন।



মন্তব্য চালু নেই