মাটি কামড়ানো শটেই প্রস্তুতি টাইগারদের
অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মাঠ অন্য যে কোন মাঠের তুলনায় বড়। সুতরাং, তুলে খেলতে গেলেই নিশ্চিত বিপদ। এই বিপদ থেকে রক্ষার উপায় কী? তুলে খেলা যাবে না। যা খেলতে হবে, তার সবই হতে হবে মাটি কামড়ানো শটে। বিশ্বকাপে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে বলেই মুশফিক-মাশরাফিদের ব্যাটিং অনুশীলনটা হচ্ছে একটু পরিকল্পনা করেই।
ব্যাটসম্যানদের প্রতি কোচ হাথুরুসিংহের কড়া নির্দেশ, তুলে শট খেলা যাবে না। খেলতে হবে সব গ্রাউন্ড শট। ছক্কা মারার চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে মনযোগ দিতে হবে বাউন্ডারি, ডাবলস কিংবা সিঙ্গেলসের দিকে। তবেই সেখানে ভালো কিছু করা সম্ভব। সে সব মাথায় নিয়েই মিরপুরে বাউন্সি উইকেটে শট বলের সামনে চার ও দুই রানের প্রস্তুতি চলছে টাইগারদের।
বুধবার বিশ্বকাপের প্রস্তুতির তৃতীয় দিনে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মুশফিকদের তেমনই ব্যাটিং অনুশীলন করতে দেখা যায়।
আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বাউন্সি উইকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানের প্রধান ভয়ের কারণ শর্ট বল। বাউন্সি উইকেটে শট বলে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য কঠোর অনুশীলনে ব্যাস্ত টাইগাররা। শট বল মোকাবেলা করতে স্টেডিয়ামের মাঝের উইকেটে বোলিং মেশিংয়ে ব্যাটসম্যানরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যাটিং করেছেন। অনুশীলন শেষে জাতীয় দলের অলরাউন্ডার নাসির হোসেন সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এমন কথাই জানান।
নাসির হোসেন বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার উইকেটের কথা চিন্তা করেই আমরা বাউন্সি বলে অনুশীলন করছি। তা ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার মাঠগুলো বড় থাকায় আমরা ছক্কার পরিবর্তে চার ও দুই রান কারার জন্য অনুশীলন করছি। প্রধান কোচ হাথুরুসিংহের অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞতাগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করছেন এবং তিনিই বিশ্বকাপের জন্য আমাদের এভাবে ব্যাটিং শিখাচ্ছেন।’
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রস্তুতি ও টার্গেট নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসলে আমি যে জায়গাতে ব্যাটিং করি ৫/৬/৭ নাম্বারে। এই সময় ব্যাটিং করা সবসময় চ্যালেঞ্জ থাকে। কারণ ওই সময় মাত্র ১০ থেকে ১২ ওভার বাকি থাকে। দলের প্রয়োজনে ব্যাটিং করতে হয়। সে মহুর্তে ব্যাটিং করা খুবই কঠিন। যে কারণে একদিন ভালো হয় এবং অন্যদিন খারাপ হয়। এ জায়গা সব সময় ভালো করা কঠিন। তবে বিশ্বকাপে দলের প্রয়োজনেই ভালো করার চেষ্টা করবো। দল কিভাবে জিতবে সেই লক্ষ্য নিয়েই খেলবো।’
এছাড়া তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপ নিয়ে নিজের তেমন কোন লক্ষ্য নেই। দলের প্রয়োজনেই খেলবো। আমার নিজের কাছে সবসয় একটাই লক্ষ্য থাকে, দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়া। সেভাবেই খেলতে চাই। এছাড়া বিশ্বাস আছে বল হাতে ভালো করার। সে কারণেই যদি দলের প্রয়োজন হয়, তাহলে ৪/৫ ওভার বোলিংও করতে আমার সমস্যা নেই।’
নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে নাসির বলেন, ‘বাজে ক্রিকেট ফর্মের কারণে জিম্বাবুয়ে সিরিজ খেলতে পারিনি। এরপর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ভালো ক্রিকেট খেলেই দলে ফিরেছি। তাই বিশ্বকাপের আগে কয়েকটি প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো করতে চাই এবং মূল একাদশে খেলে দেশের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে চাই।’
এছাড়া নাসির বলেন, ‘আমি আর সাব্বির রহমান প্রায় ১০ বছর ধরে একে অপরের বন্ধু। তাই আমার দু-জন একই সঙ্গে খেলার চেষ্চা করব।’
মন্তব্য চালু নেই