সিরাজগঞ্জে পুলিশ-জামায়াত সংঘর্ষ : আহত ১০

পিকেটিং করার চেষ্টাকালে বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদেরকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ দুই জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে হাসপাতাল সুত্রে জানানো হয়েছে।

এ ঘটনায় পুলিশ দুই জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলো শিবিরের গোলাম সোলায়মান ও গোলাম কিবরিয়া।

এদিকে অবরোধ চলাকালে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে ট্রাক ও কিছুসংখ্যক বাস চলাচল করলেও শহর থেকে ঢাকাগামী কোন বাস ছেড়ে যায়নি। এছাড়া যানবাহনগুলোতে যাত্রী উপস্থিতি অন্য দিনের তুলনায় কম ছিল।

পুলিশ জানায়, বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন ২০ দলের ডাকা অবরোধের ৪র্থ দিনে সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে পিকেটিং করার জন্য বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের শতাধিক নেতাকর্মী উল্লাপাড়া উপজেলার বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের শ্রীকোলা মোড়ে অবস্থান নেয়। পুলিশ বিষয়টি টের পেয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে পাল্টা অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে পিকেটাররা মহাসড়কে উঠে পিকেটিং করার চেষ্টা করলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এসময় জামায়াত-শিবির নেতা কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বেশ কটি ককটেল ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। ফলে পুলিশের সাথে তাদের মৃদু সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস শেল ছুড়ে।

পুলিশের ছোড়া শর্টগানের গুলিতে সলঙ্গা থানার আমডাঙ্গা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে শিবির কর্মী জাননুল হুসাইন (২৬) এবং মৃত ছাইদুর রহমানের ছেলে জামায়াত-কর্মী আব্দুল রাতেন (৪৮) গুলিবিদ্ধ হন। জামায়াত শিবিরের ছোড়া ককটেলের আঘাতে তিন পুলিশও আহত হয় বলে পুলিশ দাবী করে।

এ ব্যাপারে উল্লাপাড়ার মডেল থানার ওসি তাজুল হুদা জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি রামদা, তিনটি তাজা ককটেল, বেশ কটি ফাটানো ককটেলের খোসা ও একটি ব্যানার উদ্ধার করেছে।

এছাড়াও সকালে সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের রেলগেইট এলাকায় একটি বাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

সদর থানার ওসি হাবিবুল ইসলাম জানান, শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েনসহ টহল ব্যাবস্থা জোরদার করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই