সুস্বাদু মিষ্টিআলুর গুণ
মিষ্টিআলুর প্রকৃত মৌসুম শীতকাল। এই আলু খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি খাওয়ার প্রক্রিয়াও সহজ। মিষ্টিআলু সেঁকে, ভাপ দিয়ে, সেদ্ধ করে, পুড়িয়ে নানা ভাবে খাওয়া যায়। এছাড়া মিষ্টিআলু দিয়ে রুটি, বিস্কুট, পায়েস, স্যুপ, তরকারি করেও খাওয়া যায়। মিষ্টিআলুতে বাড়তি পওনা হিসেবে থাকে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। ভিটামিন এ, বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, খনিজ ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায় প্রচুর পরিমানে। হার্ট অ্যাটাক, ফ্লু ভাইরাস, ক্যান্সার, বিষক্রিয়াগত মাথাব্যথা থেকে মুক্তি দেয় মিষ্টিআলু। হাড়, স্নায়ু, চামড়া, দাঁত, লোহিত ও শ্বেত কণিকা গঠনেও দারুণ ভূমিকা মিষ্টিআলুর। আজ জেনে নেব মিষ্টিআলুতে থাকা পুষ্টিউপাদানের কার্যকরী গুণ…
* মিষ্টিআলুর বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন সি জাতীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের সজীবতা রক্ষায় সহায়তা করে, ত্বক সুন্দর রাখে।
* মিষ্টিআলুতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ চোখের জ্যোতি ভালো রাখে।
* গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, মিষ্টিআলু রক্তের সুগারের ভারসাম্য বজায় রাখে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য মিষ্টিআলু খুবই উপকারী।
* মিষ্টিআলু অস্টিওআর্থ্রাইটিস, রিউমেটিক আর্থ্রাইটিস, অ্যাজমার মতো রোগে ব্যথা ও অস্বস্তি উপশমে সাহায্য করে।
* মিষ্টিআলুতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট, কোলস্টেরল, সোডিয়াম কম পরিমাণে থাকে। সঙ্গে ভিটামিন বি৬ যথেষ্ট পরিমাণে থাকায় তা হার্টের জন্য ভালো।
* মেদ ঝরাতে মিষ্টিআলু খুবই সাহায্য করে।
* দেহকে শক্তিশালী করতে, প্লীহা ও পাকস্থলীর ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে মিষ্টিআলু সাহায্য করে।
* মিষ্টিআলু পুড়িয়ে খেলে সর্দি-কাশি দূর হয়
মন্তব্য চালু নেই