মামলা: শরীরে পেট্রোল ঢেলে প্রতিবাদ
করেছেন সমাজসেবা। দুস্থ রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধপত্র বিতরণ করেছেন অনেকবার। কিন্তু তাকেই মিথ্যা মামলার জালে জড়ানো হলো। এমন অভিযোগ করে ওই সমাজসেবক এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন নিজের শরীরে পেট্রোল ঢেলে।
সোমবার মাদারীপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এভাবে প্রতিবাদ জানান কালকিনি উপজেলার সাহেবরামপুর গ্রামের একটি সমবায় সমিতির সম্পাদক ও সমাজসেবক বিএম বাচ্চু মিয়া।
এর আগে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে লিখিত আবেদন এবং বক্তব্যে তার নির্যাতনের বিশদ বিবরণ তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চান।
বিএম বাচ্চু মিয়া সংবাদ সম্মেলনে জানান, তিনি ২০০১ সাল থেকে কালকিনিসহ মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্যবার দুস্থ রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধপত্র বিতরণ করেন। এরপর ২০১২ সালে সমবায় সমিতির নিবন্ধন নিয়ে মানব সেবা সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ নামের একটি সমিতি করেন। এরপর সমিতির ম্যানেজার রুনু কাওসারী ও মনিরুজ্জামান মিঠু টাকা-পয়সা জমা না দিয়ে, পল্লবী বিশ্বাস, সজল ও মশিউর রহমান তপু সমিতির কর্মী ও সদস্যদের ভাগিয়ে নিয়ে অন্যত্র সমিতি গঠন করে মানবসেবা সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতির ক্ষতি করে।
এছাড়া চাচাতো ভাইদের সাথে বিএম বাচ্চু মিয়ার বিরোধে সহযোগিতা করে তার বৃদ্ধ বাবা-মাকে নির্যাতন করে বাবার হাত ভেঙ্গে ফেলে।
তিনি দাবি করেন, স্থানীয় সন্ত্রাসী ও বখাটেদের দিয়ে রুনু কাওসারী তাকে মারধর করে এবং মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি মিমাংসার কথা বললেও প্রকৃতপক্ষে তিনি বিপক্ষে অবস্থান নেয়ায় বিষয়টি আরো ঘোলাটে হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে সমিতির ম্যানেজার রুনু কাওসারী অর্থ আত্মসাৎ ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে বিএম বাচ্চু মিয়ার বিরুদ্ধে দুটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর কালকিনির কয়েকজন অপসাংবাদিকদের দিয়ে কোন রকম তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই কয়েকটি পত্রিকায় মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অনেকগুলো সংবাদ প্রকাশ করায় রুন কাওসারী। এই সংবাদগুলোর মূল বক্তব্য ছিল, আমি এলাকার শত শত মানুষের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছি। এখন পর্যন্ত স্থানীয় কেউ এ ধরণের অভিযোগ করেনি। শুধুমাত্র রুনু কাওসারি তার ঘনিষ্ট কিছু মহিলা দিয়ে এ ধরণের অপপ্রচার চালাচ্ছে। ’
এছাড়া সমিতি থেকে বিভিন্ন নামে রুনু ঋণ নিয়ে এখন অস্বীকারও করছে, ফলে ওই টাকা-পয়সাও রুনুর কাছে আছে। এতে আমার অফিস নষ্ট হয়েছে, অর্থ নষ্ট হয়েছে, মান-সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। এখন আমি গ্রামের বাড়ি যাওয়া থাক দূরের কথা কালকিনি উপজেলা সদরেও যেতে পারছি না। আমি অশান্তি ভোগ করছি।
তিনি বলেন, ‘এ অবস্থায় আমি এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চাই, সবার সহযোগিতা চাই। আর যদি সহযোগিতা না পাই তাহলে আগামী পরিবার-পরিজন নিয়ে শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করা ছাড়া কোন বিকল্প থাকবে না।’
মন্তব্য চালু নেই