উড়বে আমার ইচ্ছে ঘুড়ি

আমরা উড়ে বেড়াব আকাশে। আমরা জয় করবো মহাশুন্য। আমরা বসতি গড়বো মঙ্গলগ্রহে। বিজ্ঞান আমাদের অনেক দুরে। আরোও দুরে এগিয়ে যাব আমরা। আমাদের ইচ্ছে ঘুড়ি উড়ে বেড়াবে মুক্ত আকাশে। স্বাধীন মহাশুন্য জয় করবো আমরা। আমাদের ইচ্ছেগুলো প্রতিজন শিক্ষার্থীর মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই। বলছিলেন ফ্রেন্ডস্ চিলড্রেন এসোসিয়েশনের আয়োজনে বিজ্ঞান বিষয়ক প্রতিযোগীতার আয়োজক কমিটির পরিচালক রেজওয়ান হোসেন। তিনি আরও বলেন, আমরা এলাকার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান মনোস্ক করে গড়ে তোলার জন্যই আয়োজন করেছি এই প্রতিযোগীতার। যেরূপ সাড়া আশা করেছিলাম- তার চেয়েও বেশি সাফল্য অর্জন করেছি। আগামীতে এ ধারা অব্যহত রাখবো। তারা আরও জানান, আমরা প্রায় সাড়ে ৪শ শিক্ষার্থীর মাঝে এমসিকিউ প্রতিযোগিতার আয়োজন করি। এলাকার ১৫টি বিদ্যালয়ের এসব বিজ্ঞান মনোস্ক শিক্ষার্থীরা ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দিপনার সাথে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেছে। তাদের উৎসাহে আমরা গর্ববোধ করছি।
ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে সকাল থেকে এলাকার শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে শুরু করে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর হামিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে। ধীরে ধীরে প্রায় সাড়ে ৪শ শিক্ষার্থীর পদচারনায় মুখোরিত হয়ে ওঠে বিদ্যালয় প্রাঙ্গন। বেলা ১১ টায় শুরু হয় পরীক্ষা। কঠোর নিরপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে চলে এক ঘন্টা ব্যাপি পরীক্ষা। ব্যতিক্রমধর্মী পরীক্ষা দেখতে অনেক উৎসুক জনতা ভিড় জমান। কেন্দ্র পরীদর্শক হিসেবে আসেন গোপালপুর হামিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমিনুল ইসলাম। তারা বলেন, এই নিভৃত পল্ল¬ীতে এ ধরনের বিজ্ঞান বিষয়ক প্রতিযোগিতা এই প্রথম। এরফলে এলাকার শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানের প্রতি আরও মনোযোগী হবে। কথা হয় বুজর্গ সন্তষপুর কারামতিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী আয়শা সিদ্দিকার সাথে। সে বলে, আমার জীবনে এই প্রথম বিজ্ঞান বিষয়ক এক ব্যতিক্রমধর্মী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করলাম। এতে আমার খুব ভাল লেগেছে, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছিনা। একই প্রতিষ্ঠানের আরেক শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম বলে, এই পরীক্ষার ফলে আমাদের বিজ্ঞান বিষয়ে আগ্রহ আরও বেড়ে গেল। কক্ষ পরিদর্শক বাবলী বেগম ও মিনারা খাতুন জানান, আমরা এখনও শিক্ষার্থী। আমাদেরও আগ্রহ আছে বিজ্ঞান বিষয়ে জানার। গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বলেন, এলাকার কয়েকজন কলেজ পড়–য়া ছাত্রের উদ্যোগে এই প্রতিযোগীতায় আমি মুগ্ধ। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের সাফল্য কামনা করছি।



মন্তব্য চালু নেই