ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা

হরিনাকুন্ডু হাসপাতালের নার্সের বিরুদ্ধে সরকারী ঔষধ চুরির অভিযোগ

ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষের সিনিয়র স্ট্যাফ নার্স মর্জিনা খাতুনের বিরুদ্ধে সাধারন রোগিদের মাঝে বিনামূল্য বিতরনের জন্য সরকার কর্তৃক সরবরাহকৃত ঔষধ চুরির অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবারে শিশুদের জন্য ব্যবহৃত ১কার্টুন জেন্টামাইসিন ইনজেকশন চুরি করে বাহিরে বিক্রয়ের উদ্দ্যেশে হাসপাতালের ময়লা কাপুড় চোপড়ের মধ্যে জনৈক নিজাম নামক একজন ভ্যান চালকের মাধ্যমে বাহিরে পাঠাই।এ সময় স্থানীয় হাসপাতাল মোড়ের জনৈক আরিফ ভ্যানটিকে দাড় করিয়ে তার মধ্যে সরকারী ঔষধ দেখতে পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষের আরএমও ডাক্তার জামিনুর রশিদ জানালে তিনি তাৎক্ষনিক ভাবে তা হাসপাতালে ফেরত পাঠান। জানতে চাইলে ডাঃ জামিনুর রশিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঔষধ গুলি মেয়াদ উর্ত্তীর্ন ছিল। মেয়াদউর্ত্তীর্ন ঔষধ একজন নার্স বিক্রি বা ধ্বংস করতে পারে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি সে অপরাধ করেছে। হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটি ও কর্তৃপক্ষে বোর্ড বসিয়ে সেগুলি ধ্বংস করার নিয়ম। হরিনাকুন্ডু হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রবিউল হাসান বলেন, অভিযোগ পেলে অভিযুক্ত নার্সের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।এ ঘটনায় অভিযুক্ত সিনিয়র স্ট্যাফ নার্স মর্জিনা খাতুন বলেন আমি বুঝতে পারিনি ঔষুধগুলি মেয়াদউর্ত্তীর্ন ছিল তাই ধ্বংস করার জন্য বাহিরে পাঠিয়েছিলাম। কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েছিলেন কিনা এ প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারেন নাই। এ ঘটনায় হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সাইফুজ্জামান তাজু জনস্বার্থে উক্ত নার্সের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। উল্লেখ্য, অভিযুক্ত উক্ত নার্সের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল। এলাকার সাধারন মানুষ এ ব্যাপারে উক্ত নার্সের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত কঠোর আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য ঝিনাইদহের মানুষের প্রিয় বন্ধু সৎ সাহসী ও কর্মঠ জেলা প্রশাসক মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।



মন্তব্য চালু নেই