পাসের হার জেএসসি৮৯.৮৫%, জেডিসি৯৩.৫০%, পিএসসি৯৭.৯৬%, ইবতেদায়ি৯৫.৯৮%
জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে জেএসসি’র পাসের হার ৮৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ, জেডিসিতে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৫০ শতাংশ।
মোট পাস করেছে ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ৪২৭ জন। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ২৩৫ জন।
মঙ্গলবার সকালের দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফল হস্তান্তর করেন।
শিক্ষাবোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট (www.educationboardresults.gov.bd) ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে জেএসসি-জেডিসির ফল পাওয়া যাবে।
এবার জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় এবার ২০ লাখ ৯০ হাজার ৬৯২ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে জেএসসিতে ১৭ লাখ ৬৪ হাজার ৫৯৫ জন এবং জেডিসিতে ৩ লাখ ২৬ হাজার ৯৭ জন। গত ২ নভেম্বর থেকে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও জামায়াতের হরতালের কারণে তা ৭ নভেম্বর থেকে শুরু করা হয়। হরতালের কারণে জেএসসি-জেডিসির ৪ দিনের পরীক্ষা পিছিয়ে যায়। ১৮ নভেম্বর এই পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০ নভেম্বর তা শেষ হয়।
পিএসসির পাসের হার ৯৭.৯৬%, ইবতেদায়ি ৯৫.৯৮%
সারা দেশে প্রাথমিক সমাপনী (পিএসপি) ও ইবতেদায়ি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে পিএসিতে পাসের হার ৯৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ। আর ইবতেদায়ি পরীক্ষায় পাসের হার ৯৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
মোট পাস করেছে ২৬ লাখ ২৮ হাজার ৮৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার ৪১১ শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীর ফল হস্তান্তর করেন।
এতে দেখা যায় পিএসসিতে প্রথম হয়েছে রাজধানীর মনিপুর হাইস্কুল, দ্বিতীয় ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল, তৃতীয় মাইলস্টোন, চতুর্থ মতিঝিল আইডিয়াল, পঞ্চম ভিকারুন নিসা নূন স্কুল।
এদিকে দুপুর থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (www.dpe.gov.bd) এবং টেলিটকের ওয়েবসাইট (http://dpe.teletalk.com.bd) থেকে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনীর ফল জানা যাবে।
ওয়েবসাইট ছাড়াও মোবাইলে এসএমএস করেও ফল জানা যাবে।
প্রাথমিক সমপানীর ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন থেকে DPE লিখে স্পেস দিয়ে থানা/উপজেলার কোড নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৪ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়েও ফল জানা যাবে।
ইবতেদায়ীর ফল পেতে EBT লিখে স্পেস দিয়ে থানা/উপজেলার কোড নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৪ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।
এই এসএমএস লেখার সময় সরকারি অথবা রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের EMIS কোড নম্বরের প্রথম পাঁচ সংখ্যা উপজেলা/থানা কোড হিসেবে ব্যবহার করতে হবে; যা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিস ও প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে জানা যাবে।
এবার প্রাথমিক সমাপনীতে ২৭ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪৪ জন ও ইবতেদায়িতে ৩ লাখ ১১ হাজার ২৬৫ জনসহ মোট ৩০ লাখ ৯৯ হাজার ৮০৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। গত ২৩ নভেম্বর শুরু হয়ে ৩০ নভেম্বর শেষ হয় এই পরীক্ষা।
পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য ২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়। আর ইবতেদায়িতে এই পরীক্ষা শুরু হয় ২০১০ সালে। প্রথম দুই বছর বিভাগভিত্তিক ফল দেয়া হলেও ২০১১ সাল থেকে গ্রেডিং পদ্ধতিতে ফল দেয়া হচ্ছে।
মন্তব্য চালু নেই