মাঠে ফিরতে দুই সপ্তাহ সময় লাগবে তামিমের!
বিশ্বকাপে কী খেলতে পারবেন বাংলাদেশ ওপেনার তামিম ইকবাল খান? বাংলাদেশ ক্রিকেট ভক্তরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছেন এই প্রশ্নের উত্তর জানতে। তবে সুখবর হলো, তামিমকে রেখেই ৫ জানুয়ারি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করতে পারবেন নির্বাচকরা। কারণ, অস্ট্রেলিয়ান ডাক্তার ডেভিড ইয়াং জানিয়েছেন, দুই সপ্তাহ পরই অনুশীলনে ফিরতে পারবেন বাংলাদেশ দলের ওপেনার এবং বিশ্বকাপের আগেই পূরোপুরি ফিট হয়ে যাবেন তিনি।
হাঁটুর ইনজুরির কারণে জিম্বাবুয়ে সিরিজের সময়ও বেশ ভুগেছিলেন তামিম ইকবাল। এরপর একই কারণে মিস করছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের জমজমাট আসর। সবচেয়ে বড় কথা, বিশ্বকাপটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ ওপেনারের জন্য।
নিরুপায় হয়ে বিসিবির সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডাক্তার দেবাশিষ চৌধুরীর স্মরনাপন্ন হন তামিম। না পরীক্ষা নিরীক্ষার পর শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ান অর্থোপেডিক সার্জন ডাক্তার ডেভিড ইয়াংয়ের কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বাংলাদেশ ওপেনারকে। তখনই জানানো হয়, অস্ত্রোপচার করা লাগতে পারে তামিমের হাঁটুতে।
অবশেষে শুক্রবারই ডেভিড ইয়াংয়ের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন তামিম এবং আজ (সোমবার) তার সাক্ষাৎ পেতে সক্ষম হন। সব দেখে-শুনে সঙ্গে সঙ্গেই অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন ডাক্তার ইয়াং। হাঁটুতে সফল অস্ত্রোপচারের পরই হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ফেসবুকে ছবি আপলোড করেন তামিম এবং সেখানেই তিনি জানান, ‘ডাক্তার ইয়াং বলেছেন, নেটে নামতে তার দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। এরপরই শুরু হবে রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রাম।’
বিসিবিও এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ‘মেলবোর্নের অ্যাভেনিউ হাসপাতালে তামির বাম হাঁটুতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে অস্ত্রোপচার করা হয়। বিসিবির সিনিয়র ফিজিশিয়ান ডা. দেবাশিষ চৌধুরি নিয়মিত এ বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখছেন। ডাক্তার ডেভিড ইয়াংও তামিমের বিষয়ে সব খোঁজ-খবর নিয়মিত জানাচ্ছেন। আমরা আশা করছি আগামী ২/৩ সপ্তাহের মধ্যে পুনরায় মাঠে ফিরতে পারবেন তামিম।’
বিশ্বকাপে যেন তামিম খেলতে পারে সে জন্য বিশেষ রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রামেরও আয়োজন করবে বলে জানিয়েছে বিসিবি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানয়, ‘বিসিবির মেডিক্যাল টিম বসে তামিমের জন্য একটি ম্যানেজমেন্ট পরিকল্পনা তৈরী করবে। সেটা অবশ্যই ডাক্তার ডেভিড ইয়াংয়ের পরামর্শ এবং তার অস্ত্রোপচারের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর।’
মন্তব্য চালু নেই