সম্পর্কে জামাই-শাশুড়ি, পেশায় চোর

হোসেনে আর বেগম (৪৫) ও মোহাম্মদ নাদিম (২৬)। সম্পর্কে তারা জামাই-শাশুড়ি। দু’জনেরই পেশা চুরি। ছোট বড় সব ‍চুরি করেন যৌথ উদ্যোগে।
হোসনে আরা বিভিন্ন বাসা বাড়িতে ভোর বেলা দরজা খোলা পেলে হুট করে ঢুকে যা পান হাতিয়ে নেন। আর আগে থেকেই জামাই নাদিম রিকশা নিয়ে বাইরে অপেক্ষা করেন। এভাবেই গত ছয় মাস ধরে চুরি করে চলেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত সোমবার সকালে পুলিশের হাতে পড়তেই হলো।
চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন জানান, শাশুড়ি হোসনে আরা বেগম গত তিন বছর ধরে নগরীর কোতোয়ালি, চান্দগাঁও ও বাকলিয়া থানা এলাকার বিভিন্ন বাসায় চুরির সঙ্গে জড়িত। আগে শাহজাহান নামে এক রিকশাচালককে সঙ্গে নিয়ে চুরি করলেও সে মারা যাওয়ার পর থেকে নাদিমকে নিজের মেয়ের জামাই বানিয়ে তাকে নিয়ে গত ছয় মাস ধরে এই চুরি করে যাচ্ছে। অবশেষে সোমবার সকালে বাকলিয়া বিএড কলেজ এলাকায় একটি বাসা থেকে ল্যাপটপ চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ জামাই-শাশুড়িকে হাতেনাতে আটক করে।
ওসি আরো জানান, আটক হোসনে আরা বেগম কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার নজরুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি নগরীর বাকলিয়া থানার চাক্তাই আব্দুস সোবহান সওদাগর সড়কে পরিবার নিয়ে ভাড়ায় থাকেন। জামাই নাদিম রিকশা চালক। ঢাকার ডেমরা উপজেলার আব্দুল হকের ছেলে। থাকেন বাকলিয়া থানার তক্তারপুল এলাকায়।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে বাকলিয়া থানার বিএড কলেজ এলাকায় জনৈক কামাল উদ্দিনের বাসায় ঢুকে একটি তোশিবা ল্যাপটপ চুরি করেন হোসনে আরা। জামাই নাদিমের রিকশায় করে এটি নিয়ে যাওয়ার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের আটক করে পুলিশ।
হোসনে আরা ও নাদিমের বিরুদ্ধে বাসার মালিক কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন ওসি।



মন্তব্য চালু নেই