বাংলাদেশের দূর্যোগে সব সময় কাজে এসেছে সাধারন মানুষের সাধারন প্রযুক্তি
শিশু জিহাদের ঘটনা নাড়া দিয়ে গেছে ১৬ কোটি বাংলাদেশীসহ বিশ্বের অনেকেরই। সরকারী বাহিনীসমূহের ব্যর্থতা ও সাধারন মানুষের সফলতা নিয়ে চারিদিকে নানা সমালোচনা ও আলোচনা। বিভিন্নজন দিচ্ছেন বিভিন্ন উপদেশও। একজন সচেতন পাঠকের নিচের মন্তব্যগুলিতে আমাদের চোখ আটকে গেল। আপনাদের জন্যও সেগুলো তুলে ধরলাম।
১. ডিজাস্টারে ক্যামেরায় আসল চিত্র আসে না। ক্যামেরায় যা আসে না তাই আসল চিত্র।
২. বাংলাদেশে ফায়ার বিগ্রেড উদ্ধার করতে গেলে নিশ্চিতভাবে ধরে নেয়া যায় যে যাকে উদ্ধার করা হচ্ছে তার বাঁচার সম্ভাবনা কম।
৩. মন্ত্রী বা সরকারী লোকজন ডিজাস্টার-স্থলে গিয়ে যা বলবে ধরে নিতে হবে আসল ঘটনা তার উল্টো।
৪. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আমাদের লোকাল নলেজই সবসময় বাঁচিয়েছে অথচ আমাদের সরকারী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় লোকাল নলেজের কোনো স্থান নাই।
৫. টিভি সাংবাদিক ও ক্যামেরাম্যানদের বহনযোগ্য উঁচু প্লাটফর্ম বা মই নিয়ে যাওয়া উচিত যেনো তারা বেশ দূরত্বে থেকে ভালো ছবি তুলতে পারে। একেবারে কাছে গেলেই যে ক্যামেরায় ভালো ছবি ওঠে না বিষয়টা তাদের বোঝা উচিত।
৬. এমন ডিজাস্টার ঘটলে সংশ্লিষ্ট স্থানের সামগ্রিক উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনার জন্য একজনকে প্রধান হিসাবে সাথে সাথে নিয়োগ করা – যে ঔখানের পুলিশ, ফায়ারবিগ্রেড, মিডিয়া, পাবলিক, লোকাল নলেজ – সব কিছুর ব্যবস্থাপনা করবে এবং তার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৭. যেখানে ঘটে সেই জায়গাকে কেন্দ্র করে একটা নিদিষ্ট দূরত্বের সীমারেখা টেনে তার মধ্যে শুধু প্রয়োজনীয় ক্যাটাগরির লোকবলকে জায়গা দেওয়া।
৮. সর্বাধুনিক মেডিকেল কেয়ার ও ইমার্জেন্সী অপারেশন/আইসিউ সুবিধাসম্বলিত অ্যাম্বুলেন্স বা হেলিকপ্টার নিকটস্থলে রাখা।
৯. ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের হ্যান্ডি টুলকিট পুলিশের টহল টিমের সাথে রাখা এবং পুলিশকেও এ বিষয়ে ট্রেনিং দেয়া।
১০. টিভি ক্যামেরার সামনে বাঁদরের মত হাসিমুখে চেহারা দেখানো উৎসুক জনতাকে অন দ্যা স্পট তিনমাসের জেল দেয়া।
মন্তব্য চালু নেই