রাজধানীতে গভীর নলকূপের ৬’শ ফুট পাইপের মধ্যে পড়ে গিয়েছে শিশু
শিশু উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা
দেশীয় পদ্ধতি ও মডার্ন টেকনোলজি ব্যবহার করে রাজধানীর শাহজাহানপুরে রেলওয়ে কলোনিতে পানির পাইপে পড়ে যাওয়া শিশুটি উদ্ধারে তৈরি করা হয়েছে ক্যাচার। তার সঙ্গে ক্যামেরা লাগিয়ে সেটি পাইপে নামানো হয়েছে। আর এ উদ্ধার কাজ চলছে ওয়াসা এবং এলজিআরডির সমন্বয়ে।
শুক্রবার রাত সোয়া ১টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান।
এদিকে বিষয়টি তদারকি করতে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও রেলের মহাপরিচালক মো. তাফাজ্জল হোসেন।
‘আপনার কোনো এক্সপার্ট আনছেন কি না’ এমন প্রশ্নের জবাবে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক এর আগে বলেছিলেন, ‘যারা বড় বড় পাইলিংয়ের কাজ করে তাদেরকে দিয়ে ক্যাচার বানানো হচ্ছে। কিছুক্ষণের মধ্যে এটি ক্রেন দিয়ে নামিয়ে শিশুটি উদ্ধারে চেষ্টা চালানো হবে।’
তবে সাড়ে ৩ বছরের জিহাদ নামের শিশুটিকে উদ্ধার করতে পাইপে নামতে দেয়া হচ্ছে না ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্য বশির আহমেদকে।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান বলেন, ‘এতো গভীরে বশির আহমেদকে নামানো হলে তাকে বাঁচানোই কষ্ট হয়ে পড়বে। তাছাড়া বশির আহমেদ আবেগে পড়ে পাইপে নামতে চাইছেন।’
বশির আহমেদ এর আগে রানা প্লাজার উদ্ধার কাজেও অংশ নিয়েছিলেন।
এর আগে দুপুরে প্রায় ৬শ ফুট গভীরে ১৭ ইঞ্চি ব্যাসের পানির পাইপে শিশুটি পড়ে যায়। শিশুটিকে উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। রাত ১০টায় পাইপের মধ্যে শিশুটির অবস্থান জানতে একটি বিশেষ ক্যামেরা নামিয়ে এলসিডি মনিটর বসানো হয়। তবে ৪শ ফুট পর্যন্ত নিচেও কোনো ছবি পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, শিশুটি খেলতে খেলতে হঠাৎ করে উন্মুক্ত পাইপটির ভেতরে পড়ে যায়। পাইপটি গভীরতা আনুমানিক ৬শ ফুট বলে জানিয়েছে সেখানে কর্মরত ফায়ার সার্ভিস।
বাচ্চাটিকে জীবিত উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তার শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। রশি নামিয়ে উপর থেকে চিৎকার করে ধরতে বলা হলেও শিশুটির বয়স অনেক কম হওয়ায় তাতে কাজ হচ্ছে না। এ কারণে তার হাতে বা পায়ে দড়ির ফাঁস লাগিয়ে টেনে তোলার চেষ্টাও করা হয়। শিশুটি বেঁচে আছে এ ব্যাপারে নিশ্চিত ফায়ার সার্ভিস, কারণ উপর থেকে পাঠানো জুস খেয়েছে সে। আর পাইপের গোড়ায় কোনো পানি নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, পানির পাম্পটি অনেকদিন পরিত্যক্ত ছিল।
ভেতর থেকে ভেসে আসছে অস্বাভাবিক কান্নার শব্দ
ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে জিহাদের বাঁচার লড়াই। দুর্বল হয়ে আসছে তার কণ্ঠ। পাইপের ভেতর থেকে হঠাৎ ভেসে আসছে অস্বাভাবিক কান্নার শব্দ। এমনটাই জানালেন উদ্ধার কাজে নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মী মনির হোসেন। তিনি জানান, শিশু জিহাদের সঙ্গে তার বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে। জুস পাঠানোর পর জিহাদ বলেছিল সে একটুখানি জুস খেয়েছে। উপর থেকে দড়ি ফেলার পর সে বলেছিল, ‘আমি ধরতে পারছি না।’
জিহাদ বেঁচে আছে কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে মনির হোসেন জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি পাইপের ভেতর থেকে অস্বাভাবিক কান্নার শব্দ শুনতে পেয়েছেন।
তিনি জানান, উদ্ধার কাজের প্রথম দিকে স্থানীয়রা উপর থেকে ভেতরে দড়ি ফেলায় সেগুলো ভেতর পড়ে গিয়ে আরো কোণঠাসা করে ফেলেছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার কাজ।
উল্লেখ্য, রাজধানীর শাহজাহানপুরে রেলওয়ে কলোনিতে দুপুরে প্রায় ৬শ ফুট গভীরে ১৭ ইঞ্চি ব্যাসের পানির পাইপে শিশুটি পড়ে যায়। শিশুটিকে উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। রাত ১০টায় পাইপের মধ্যে শিশুটির অবস্থান জানতে একটি বিশেষ ক্যামেরা নামিয়ে এলসিডি মনিটর বসানো হয়। তবে ৪শ ফুট পর্যন্ত নিচেও কোনো ছবি পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, শিশুটি খেলতে খেলতে হঠাৎ করে উন্মুক্ত পাইপটির ভেতরে পড়ে যায়। পাইপটি গভীরতা আনুমানিক ৬শ ফুট বলে জানিয়েছে সেখানে কর্মরত ফায়ার সার্ভিস।
বাচ্চাটিকে জীবিত উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তার শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। রশি নামিয়ে উপর থেকে চিৎকার করে ধরতে বলা হলেও শিশুটির বয়স অনেক কম হওয়ায় তাতে কাজ হচ্ছে না। এ কারণে তার হাতে বা পায়ে দড়ির ফাঁস লাগিয়ে টেনে তোলার চেষ্টাও করা হয়। শিশুটি বেঁচে আছে এ ব্যাপারে নিশ্চিত ফায়ার সার্ভিস, কারণ উপর থেকে পাঠানো জুস খেয়েছে সে। আর পাইপের গোড়ায় কোনো পানি নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, পানির পাম্পটি অনেকদিন পরিত্যক্ত ছিল।
শিশু পাইপে, রেলের প্রকৌশলী বরখাস্ত
রাজধানীর শাহজাহানপুরে গভীর নলকূপের পাইপের মুখ খোলা অবস্থায় রাখার অভিযোগে রেলওয়ের জ্যেষ্ঠ উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি ওই প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন।
এছাড়া প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এস আর হাউসকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে জিয়াদ নামে সাড়ে তিন বছরের একটি শিশু ওই পাইপের মধ্যে পড়ে যায়। শিশুটিকে উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।
রেল মহাপরিচালক গণমাধ্যমকে বলেন, একই স্থানে একটি নতুন ডিপ টিউবওয়েল বসানো হচ্ছিল। নতুন টিউবওয়েল বসানোর আগে পুরনোটির মুখ ঝালাই করে বন্ধ করার নিয়ম রয়েছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত শিশূটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পাঁচবার বিভিন্ন কায়দায় দড়ি ফেলেও কোনো কাজ হয়নি। অবশেষে সাবমারসিবল পাম্পের পাই টেনে তুলে ফেলা হয়েছে। এখন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পাইপের মধ্যে নেমে শিশুটি উদ্ধারের চেষ্টা করবেন।
মন্তব্য চালু নেই