নবাবগঞ্জ থানার প্রাথমিক বিদ্যালয় ধংশের অপচেষ্টা
সাভারে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ডাকাতির চেষ্টা
বৃহস্পতিবার ভোঁর সারে তিনটার সময় ঢাকা- আরিচা মহাসড়কের বাইশ-মাইল এলাকায় গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাস ঢাকা হতে আসার সময় ডাকাত দ্বারা আক্রান্ত হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস-৩ এর ছাত্ররা এবং সিকিউরিটি গার্ডরা মিলে ডাকাত দলকে ধাওয়া করে বাসটি উদ্ধার করে।
এরপরে বাসটিকে ঠেলে ছাত্রাবাস-৩ এর সামনে নিয়ে আসা হয় ।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লায়েড ম্যাথম্যাটিকস এর ৪র্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী পলাশ সাহা প্রতিবেদককে জানান, মানুষের চিৎকারের শব্দ শুনে আমরা বেরিয়ে আসি । আমাদের দেখে ডাকাত দলটি পালিয়ে যায় ।
ডাকাত দল শুধুমাত্র কয়েকটি জানালার কাছ ভাঙ্গা ছাড়া বাসটির তেমন বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারেনি । এঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
নবাবগঞ্জ থানার প্রাথমিক বিদ্যালয় ধংশের অপচেষ্টা:
ঢাকা জেলায় নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের খতিয়া মৌজায় রূপারচর গ্রামে, খেয়াঘাটের পার্শ্বে অবস্থিত একটি বিশাল খেলার মাঠ নিয়ে একটি ভাঙাচুড়া স্কুল। ১৯৯১ সালে গঠিত রূপারচর প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে গঠিত স্কুলটি ১৯৯৬ সালে একবার সরকারি করণের উদ্যেগ নেয়া হলে তৎকালীন শিক্ষকবৃন্দ এটিকে সরকারি করনে ব্যর্থ হয়। পরে স্কুলটি ১৯৯৯ সালে বন্ধ হয়ে যায়।
স্কুলটি বন্ধ হয়ে গেলে তখন রূপারচর এবং সিংগাইর থানাধীন নিলাম্বর পট্টি গ্রামের বহুসংখ্যক ছাত্র ছাত্রী নদী পার হয়ে শোল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালদয়, এবং শোল্লা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তাদের পড়ালেখা শুরু করে, আবার অনেকেই বর্ষার মৌসুমে নদী পাড়াপারে সমস্যা দেখে তাদের পড়ালেখা বন্ধ করে দেয়।
নদী পাড়াপাড়ে নৌকা ডুবে একসময় এক মেধাবী ছাত্রের ও মৃত্য হয়েছিল। স্কুলটি বন্ধ হয়ে গেলে এলাকার কিছু মূর্খ্য মানুষ স্কুলের এই ঘরটিকে তাদের গরু বাধাঁর ঘর হিসেবে ব্যবহার করে। বহুদিন পর্যন্ত এটি গরুর ঘর হিসেবে পরে থাকায় আধুনিক নবাবগঞ্জ থানায় রচনা হয় একটি পরিত্যক্ত স্কুলের।
২০০৮ সাল থেকে ২০১২ পর্যন্ত স্কুলটি সিংগাইর থানাধিন একটি ব্রাক স্কুল সংস্থা (৭,০০০) সাত হাজার টাকা এ্যাডভান্স এবং মাসিক (২০০) দুইশত টাকা করে ভাড়া প্রদান করে তাদের ব্রাক স্কুলটিকে চালায়। সরকারি যায়গাতে স্কুলটি আছে বলে নিলাম্বর পট্টি এলাকার কিছু সংখ্যক স্বার্থলোভী চক্র স্কুল ভাড়ার টাকা খেয়ে হজম করে!!! ২০১২ সালের শেষে ব্রাক স্কুলটিও বন্ধ হয়ে যায়।
পরে ২০১৩ সালে নিলাম্বর পট্টি গ্রামের কিছু সংখ্যক শিক্ষিত বেকার যুবকেরা মিলে স্কুলটি সংস্কার করার উদ্যেগ নিয়ে এক আলোচনা সভার ডাক দেয় এবং আলোচনা সভায় সেই দালাল চক্রটি কায়দা করে সিদ্ধান্ত দেয় যে, মাঠের পূর্ব পার্শ্বে (সেটাও মাঠের জায়গা) খাল ভরাট করে স্কুল তৈরী করতে। পরে শিক্ষিত বেকার যুবকবৃন্দ টাকার অভাবে স্কুলটি করতে ব্যর্থ হয়।
২০১৪ সালে গ্রামীন শিক্ষা নামের একটি সরকারি স্কুল প্রতিষ্ঠান নিয়ে দুই জন প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক রুপা আক্তার ও জিয়াউর রহমান জিয়া তাদের ৩৫ জন ছাত্র ছাত্রী নিয়ে এই স্কুলটিতে তাদের শিক্ষাগতা শুরু করে। ২০১৪ সাল শেষ হতে না হতে স্কুলের ছাত্র সংখ্যা দারায় ৪৭ জন।
ছাত্র ছাত্রীদের বার্ষিক পরিক্ষায় বাধা দিয়ে স্কুলটিকে আবার একবার বন্ধ করার অপচেষ্টা চালায় সেই স্বার্থলোভী চক্র। স্কুলটি বন্ধ হয়ে যাবে ভেবে ১০জন ছাত্র ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
বার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকবৃন্দ যানায় যে তারা তাদের ছেলে মেয়েদের এই স্কুলটিতেই পড়াতে চান। বর্ষার সময় ছেলে মেয়েদের নদী পার হয়ে স্কুলে যেতে দিতে ভয় হয় তাদের। রুপার চর এবং নিলাম্বর পট্টি গ্রামের সবাই চায় যে এখানে স্কুলটি হোক।
শুধুমাত্র কেবল নিলাম্বরপট্টি গ্রামের এক কেজি স্কুল পরিচালক, (পাশাপশি তিনি সিংগাইর থানাধীন শান্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষক) আবুল কালাম আজাদ খাঁন এর ঘোর বিরোধিতা করে চলেছে। তিনি প্রকাশ্যে এবং গোপনে রাতের আধারে গিয়ে এই স্কুলটির ছাত্র ছাত্রীদের বাড়িতে গিয়ে বই দেওয়ারও চেষ্টা চালায় এবং বই দিতে ব্যর্থ হয়।
এলাকাবাসী এবং ছাত্র ছত্রীদের অভিভাবকদের প্রশ্ন, এই এলাকাতে একটি প্রাথমিক স্কুল হলে ক্ষতি কী এই ব্যক্তির। কোন ক্ষমতার বলে সে এই স্কুলটিকে রুখতে ঘোর বিরোধিতা চালাচ্ছে???
নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউ পি চেয়ারম্যান এই ঘটনা সম্পর্কে অবগত হয়ে বলেন, সরকারি যায়গাতে প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে কেউ বাধা দিতে পারে না, পারবেও না। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যে বইপত্র আছে আপনারা সেগুলো দিয়েই পড়াতে থাকেন ইনশাআল্লাহ যথা সিগ্রই আমরা স্কুলটিকে সরকারি করনের উদ্যেগ নেবো। এতো কিছুর পড়েও স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং ছাত্র ছত্রীদের অভিভাবকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এখন তাদের একটাই প্রশ্ন…দেশ স্বাধীন হওয়ার এতো বছর পরেও কি আমাদের আগামীর ভবিষ্যৎ প্রজন্মদের এই স্বার্থলোভী মানুষের হাতে শিক্ষাকে বিষর্জন দিতে হবে? নাকি প্রতিদিনের পূর্ব দিগন্তে আধার কেটে রক্তিম সূর্য্যরে ন্যয় আলোকিত করবে আমাদের বাংলাদেশ??
মন্তব্য চালু নেই