নৈশপ্রহরী হত্যায় ৬ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

যশোরের কেশবপুরের করাতকলের নৈশপ্রহরী আবু বকর (৭০) হত্যা মামলায় ছয় আসামির আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার দণ্ড দেন বিচারক। মঙ্গলবার যশোরের স্পেশাল জজ (জেলা জজ) আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, যশোরের কেশবপুর উপজেলার চাঁদড়া গ্রামের জোহর আলী ওরফে বাবু ওরফে ট্যারা খোকন, একই উপজেলার কোমলপুর গ্রামের ইসাহক আলী, সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের শামিম, মধ্যকচুয়া গ্রামের আবদুর রউফ মোল্যা, মণিরামপুর উপজেলার ঘুঘুরাইল গ্রামের মোজাম আলী ও রত্নেশ্বরপুর গ্রামের রেজাউল ওরফে শাহাজান। দণ্ডপ্রাপ্তরা সবাই পলাতক রয়েছেন।

এই মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০০ সালের ১২ মার্চ রাতের কোনো এক সময়ে মণিরামপুর উপজেলার বেগারীতলা বাজারের একটি করাতকলের মধ্যে নৈশপ্রহরী আবু বকর খুন হন।

খুনিরা তাকে গামছা দিয়ে পেঁচিয়ে এবং মুখের ভেতর গামছা ঢুকিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর তাকে মিল এলাকা থেকে প্রায় দেড়শ গজ দূরে একটি মাঠের ভেতর ফেলে রাখে।

এ ঘটনায় করাতকল মালিক মণিরামপুর উপজেলার টুনিয়াঘরা গ্রামের আবদুস সামাদ বাদী হয়ে ১৩ মার্চ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মণিরামপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ভোরে অজ্ঞাত চোরেরা তার সমিলের একটি কক্ষ ভেঙে সেখান থেকে দুটি বৈদ্যুতিক মোটর চুরি করে নিয়ে যায়। নৈশপ্রহরী তারই গ্রামের আবু বকর সম্ভবত চোরদের চিনে ফেলায় তাকে খুন করে মাঠে ফেলে রাখে চোরেরা।

তদন্ত শেষে মণিরামপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম একই বছর বিভিন্ন সময়ে আটক সাতজনের মধ্যে হাবিবুর রহমানকে অব্যাহতি চেয়ে এবং ছয় জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ওই বছরের ২৩ আগস্ট চার্জশিটটি আদালত গ্রহণ করেন।

আদালতের পিপি এসএম বদরুজ্জামান পলাশ জানান, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক ছয়জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড (আমৃত্যু) এবং প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার দণ্ড দেন।



মন্তব্য চালু নেই