বিপিএল ফিক্সিং রায় আগামী মাসে?

বিপিএল ফিক্সিং নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর পূর্ণ রায় ঘোষণা করার কথা। বিশ্বকাপের পর পেরিয়ে গেছে তিন সপ্তাহ। এখনো ফিক্সিংয়ের বিস্তারিত রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট।

সাবেক বিচারপতি খাদেমুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল পূর্ণাঙ্গ রায় ঘোষণা করবেন আগামী মাসের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে। বিস্তারিত রায় ঘোষণার আগে অভিযোগ স্বীকার করা তিন ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল, কৌশল লোকুয়ারাচ্চি ও লু ভিনসেন্টের শাস্তি নির্ধারণ করতে শুনানি হবে।

বিপিএল ফিক্সিংয়ের তদন্ত ও বিচার হয়েছে মূলত মোহাম্মদ আশরাফুলের জবানবন্দির ভিত্তিতে। অপরাধ স্বীকার করা তিনজনেরই শাস্তি পাওয়া অবধারিত। আশরাফুলের ক্ষেত্রে সেটি সর্বনিম্ন পাঁচ বছর থেকে সর্বোচ্চ আজীবন বহিষ্কারাদেশ পর্যন্ত হতে পারে। তথ্য গোপনের অপরাধে অপরাধী লোকুয়ারাচ্চি ও লু ভিনসেন্টের ক্ষেত্রে যেটি সর্বনিম্ন এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিহাব চৌধুরীর ফিক্সিংয়ে সম্পৃক্ততার ব্যাপারেও নিঃসন্দেহ হয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। শাস্তি পেতে হবে তাঁকেও। রায় ঘোষণার ২১ দিনের মধ্যে এর বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ থাকবে দুই পক্ষেরই। অভিযোগের বিবরণ, সব পক্ষের বক্তব্য, এ জাতীয় অন্যান্য ট্রাইব্যুনালের উদাহরণ, শাস্তির ধরন ইত্যাদি মিলিয়ে রায়টা প্রায় ১২৫ পৃষ্ঠার কাছাকাছি হবে বলে জানিয়েছে সূত্র।

পূর্ণাঙ্গ রায় ঘোষণায় দেরি হওয়ার একটা বড় কারণ, শিহাব চৌধুরীকে ইংল্যান্ডের ফ্রেন্ডস লাইফ টি-টোয়েন্টিতে ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়ার বিরুদ্ধে আকসু ও আইসিসির আপত্তি। শিহাবের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ থাকলেও সংক্ষিপ্ত রায়ে তাঁকে দোষী বলা হয়েছে কেবল চিটাগং কিংসের বিপক্ষে ম্যাচে ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে। দ্বিতীয় বিপিএলে বরিশালের বিপক্ষে ম্যাচ এবং ফ্রেন্ডস লাইফ টি-টোয়েন্টিতে ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগ থেকে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। সঙ্গে ট্রাইব্যুনালে জানিয়ে দেন যে ফ্রেন্ডস লাইফ টি-টোয়েন্টির স্পট ফিক্সিংয়ের বিচারকাজ তাঁদের আওতার মধ্যে নেই। আকসু ও আইসিসি সেটা নিয়ে আপত্তি তুললে ট্রাইব্যুনাল তাদের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য জানাতে বলেন। সেটি হাতে পাওয়ার পর ট্রাইব্যুনাল এখন এর গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনা করে দেখছেন।



মন্তব্য চালু নেই