খালেদা-গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল ১৭ মে
মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে ও বুদ্ধিজীবীদের জড়িয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে মানহানি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৭ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম এস এম মাসুদ জামান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন তারিখ ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘আজকে বলা হয় এত লাখ শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না।’
অন্যদিকে মামলার অন্য আসামি গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ওই বছরের ২৫ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা নির্বোধের মতো মারা গেছেন। একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা পাকিস্তানের বেতন-ভাতা খেয়েছেন তারা নির্বোধের মতো মারা গেলেন? আর আমাদের মতো নির্বোধরা শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে তাদের কবরে ফুল দেই। আবার না গেলে পাপ হয়। তারা যদি বুদ্ধিমান হন, তাহলে ১৪ তারিখ পর্যন্ত নিজের ঘরে থাকলেন কীভাবে?’
এসব বক্তব্য বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর ১০০ কোটি টাকার মানহানির অভিযোগে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মন্তব্য চালু নেই