হাজারীবাগের সব ট্যানারির সংযোগ বিচ্ছিন্ন, আদালতে প্রতিবেদন যাচ্ছে রবিবার

উচ্চ আদালতের নির্দেশে শনিবার দিনব্যাপী হাজারীবাগের সবগুলো ট্যানারি কারখানার বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদফতর। রবিবার উচ্চ আদালতে এবিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী সারওয়ার ইমতিয়াজ হাশমী।

তিনি বলেন, ‘সকাল (শনিবার) থেকে অভিযানে ১২৩টি টেলিফোন সংযোগ, ১৯৩টি পানির লাইন, ২২৪টি বিদ্যুৎ সংযোগ ও ৫৪টি তিতাসের লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। রবিবার আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।’

৩০ মার্চ এক আদেশে ৬ এপ্রিলের মধ্যে হাজারীবাগের ট্যানারি কারখানাগুলোর সব কার্যক্রম বন্ধ করতে বলেন আপিল বিভাগ। এরপর ট্যানারি কারখানাগুলোকে জরিমানা করে আপিল বিভাগের আদেশের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন ও পরিবেশের ক্ষতি করায় ১৫৪ ট্যানারি মালিককে বকেয়া বাবদ ৩০ কোটি ৮৫ লাখ জরিমানা পরিশোধের আদেশ স্থগিতের বিষয়ে শুনানি গ্রহণ করবেন আদালত। এ বিষয়ে আগামী ৯ এপ্রিল শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত,২০০১ সালে ট্যানারি শিল্প হাজারীবাগ থেকে সরিয়ে নিতে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন না হওয়ায়, ২০১০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাজারীবাগের ট্যানারি শিল্প অন্যত্র সরিয়ে নিতে ২০০৯ সালের ২৩ জুন হাইকোর্ট ফের নির্দেশ দেন। সরকার পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরে ওই সময়সীমা কয়েক দফা বাড়িয়ে ২০১১ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু এ সময়ের মধ্যেও স্থানান্তর না হওয়ায় পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে আদালত অবমাননার মামলা করেন মনজিল মোরশেদ।

গত ১৬ জুন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ১৫৪টি ট্যানারি কারখানাকে প্রতিদিন ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। জরিমানার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে এবং শিল্প সচিবকে এ বিষয়ে তদারকি করতে নির্দেশ দেন আদালত। এরপর গত ১৮ জুলাই প্রতিটি ট্যানারি কারখানাকে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা থেকে কমিয়ে ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দেন আপিল বিভাগ।



মন্তব্য চালু নেই