তিস্তায় পানি নেই, আমি কী করব : মমতা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের আগে থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে তিস্তা চুক্তি ইস্যু। সফরের ঠিক আগমুহূর্তে সেই তিস্তা নিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
তিনি বলেন, ‘তিস্তায় পর্যাপ্ত পানি নেই। যদি পানি না থাকে, তবে আমি কী করতে পারি? পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। তিস্তায় পানি নেই, মহানন্দাও শুকিয়ে গেছে। এপ্রিলেই এ অবস্থা। তাহলে চিন্তা করুন বর্ষার মৌসুমের আগে গ্রীষ্মকালে কী অবস্থা হবে?’ সামনের তিন মাস এমন খরা থাকবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বুধবার (০৫ এপ্রিল) বাঁকুরায় প্রশাসনিক বৈঠকে একথা বলেন মমতা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে‘র এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
তবে তিস্তার নিয়ে মমতার এমন মন্তব্য এবারই প্রথম নয়। বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে বরাবরই বিরোধিতা করে আসছেন মমতা। ক্ষমতা গ্রহণের পর নদীর অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটিও নিয়োগ দিয়েছেন তিনি।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, শেখ হাসিনার সফর উপলক্ষে দিল্লি যাবেন মমতা। এর আগে শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার তার সঙ্গে আলোচনা না করায় নরেন্দ্র মোদির সরকারের সমালোচনা করেন তিনি।
এছাড়া ২০১১ সালে তিস্তা চুক্তি নিয়ে তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সমালোচনা করেন মমতা। তার বিরোধিতায় শেষ মুহূর্তে তিস্তা চুক্তি আটকে যায়। বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখলেও নিজ দেশের মানুষের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেন বলে দাবি করেন তিনি।
উত্তর বঙ্গের জন্য তিস্তা নদী খুবই গুরুত্বপূর্ণ পানির উৎস। সিকিমের তিস্তা কাংসি থেকে বাংলাদেশের প্রবেশ করেছে নদীটি। তবে বেশকিছু পানি বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য নদীর স্রোত যাওয়ার ফলে বাংলাদেশ-ভারতের কৃষিক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়েছে।




























মন্তব্য চালু নেই