আল্লাহর নৈকট্য লাভে মানুষের বৈশিষ্ট্য
মানুষ সৃষ্টিগতভাবে ইসলামের ফিতরাতে জন্মগ্রহণ করে। এ কারণে মানুষের ভালো গুণগুলোই প্রকাশ হওয়ার কথা। তারপরও মানুষের মাঝে মন্দ গুণ প্রকাশ পায়। কিন্তু ঈমানের দাবি হলো মানুষ ভালো গুণের অধিকারী হবে। তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ভালো হিসেবে প্রকাশ পাবে এবং আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন করবে।
তাম্বিহুল গাফেলিন গ্রন্থে আল্লামা আবু লাইছ সমরকান্দি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি মানুষের কিছু উত্তম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও গুণ তুলে ধরেছেন। যে গুণগুলো নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করলে দ্রুত আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়। আর তা হলো-
> ওই ব্যক্তি সর্বোত্তম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী যে ব্যক্তি সব সময় আল্লাহ তাআলার ইবাদাতকারী হয়।
> শুধু নিজের জন্য নয় বরং সব সময় সৃষ্টি জগতের সবার কল্যাণ কামনায় নিজেকে নিয়োজিত রাখে।
> মানুষ তার অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকে। হাদিসে এসেছে, ‘প্রকৃত মুসলিম ওই ব্যক্তি, যার হাত ও মুখ থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে।’
কখনোই অন্যের ধন-সম্পদের প্রতি লোভ না করা।
>> যে ব্যক্তি সব সময় মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকে। অর্থাৎ নেক আমলে জীবন অতিবাহিত করে।
এ কারণে হজরত আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি তিনটি গুণকে ভালোবাসি-
১. দারিদ্র্যতাকে, যাতে আল্লাহ তাআলার দরবারে বিনয়ী হওয়া যায়।
২. অসুস্থতাকে, যে অসুস্থতা দ্বারা গোনাহ মাফ হয়ে থাকে।
৩. মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকা, যাতে আল্লাহ তাআলার দিদার লাভ করা যায়।
পরিশেষে…
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলোর অধিকারী হয়ে তাঁর নৈকট্য অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
মন্তব্য চালু নেই