সুইডিশ রেডিওর দাবি প্রত্যাখ্যান র্যাবের
র্যাবের গুম-খুন নিয়ে সুইডিশ রেডিওর প্রতিবেদনটি সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন এলিট এই ফোর্সের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান। ‘ক্রসফায়ারের’ নামে র্যাব আসলে কী করছে, সে সম্পর্কে করা প্রায় নয় মিনিটের ওই প্রতিবেদনটি মঙ্গলবার প্রচার করে সুইডিশ রেডিও। প্রতিবেদনে র্যাবের এক কর্মকর্তাকে বাংলা ভাষায় হত্যা ও নির্যাতনের বিবরণ দিতে শোনা যায়। রেডিওটি বলেছে, বিবরণ দেওয়া এই ব্যক্তি র্যাবের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তার অজান্তে অডিওটি রেকর্ড করা হয়েছিল। প্রতিবেদনে তার নামও আড়াল করা হয়।
সুইডেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মার্গট ওয়ালস্ট্রম এই গোপন টেপটির কথা শুনে ধাক্কা খেয়েছেন। কীভাবে মানুষ অপহরণ, খুন ও গুম করা হয় তার বর্ণনা শুনে তিনি এর নিন্দা জানিয়েছেন। মার্গট ওয়ালস্ট্রম বলেন, ‘এ ব্যাপারে শুধু একটি কথাই বলবার আছে। এটা খুবই জঘন্য কাজ হয়েছে এবং এটা অবশ্যই থামাতে হবে। আর বাংলাদেশকে এর জন্য দায় নিতে হবে।’
ওই প্রতিবেদনের বিষয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ‘র্যাব আইন বহির্ভূতভাবে কিছু করে না। ক্রসফায়ারে এখন পর্যন্ত যারা নিহত হয়েছেন, তারা সশস্ত্র, কুখ্যাত সন্ত্রাসী, ডাকাত ও জঙ্গি।’
তিনি আরো বলেন, ‘র্যাবের পক্ষ থেকে অপরাধীদের ধরার জন্য যখন অভিযান চালানো হয়, তখন তারা র্যাবের ওপর গুলি ছোড়েন। তখন র্যাবকেও গুলি ছুড়তে হয়।’
‘শুধু র্যাবের গুলিতেই সন্ত্রাসীরা নিহত হয়েছেন ব্যাপারটা তেমন নয়। তাদের গুলিতে র্যাবের কর্মকর্তা এবং সদস্যরাও নিহত হয়েছেন। পঙ্গুত্বও বরণ করেছেন,’ যোগ করেন মুফতি মাহমুদ।
সুইডিস রেডিওর প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৪ সালে পুলিশের অভিজাত ইউনিট হিসেবে র্যাবের যাত্রা শুরু হয়। এর পর থেকেই এই বাহিনীর বিরুদ্ধে অপহরণ, গুম, গুপ্তহত্যা ও ‘ক্রসফায়ারের’ অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে লেখালেখি হয়েছে। দেশি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে সরকার এবং র্যাব সব সময় এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
মন্তব্য চালু নেই