বিমানে সব ধরনের শ্রমিক আন্দোলনে নিষেধাজ্ঞা
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সেবা অত্যাবশ্যকীয় ঘোষণার মাধ্যমে এ খাতে শ্রমিক ইউনিয়নের সবরকমের কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।
এর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় বিমান পরিবহন সংস্থা বিমানের সিবিএ (শ্রমিক-কর্মচারীদের সংগঠন) ও বাপার (বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পাইলট অ্যাসোসিয়েশন) মতো সংগঠনগুলোর ধর্মঘট, কর্মবিরতি, অবরোধসহ সব ধরনের আন্দোলন কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো।
বিমানের সেবা নির্বিঘ্ন এবং শৃঙ্খলা ফেরাতে সম্প্রতি এ আদেশ জারি করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপার রোববার (২ এপ্রিল) বাংলানিউজকে জানান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ অনুরোধের প্রেক্ষিতে বিমানের কর্মীদের ‘অত্যাবশ্যকীয় শ্রমিক’ ঘোষণা করে আগামী ৬ মাসের জন্য এ খাতের সেবায় সব ধরনের আন্দোলনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে বিমানে দাবি-দাওয়া উত্থাপনের নামে কেউ কোনো আন্দোলন করতে পারবে না।
‘বিমান সেক্টরে কেউ ট্রেড ইউনিয়ন অ্যাকটিভিটিস চালাতে পারবে না। কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জরুরি অবস্থা বিবেচনায় এ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ৬ মাস।’
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এর আগে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কাছে বিমানে শৃঙ্খলা ফেরাতে এই সুপারিশ করেছিল।
শ্রম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, কোনো প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের শ্রম মন্ত্রণালয়ের তরফে ‘অত্যাবশ্যকীয় শ্রমিক’ ঘোষণা করা হলে সেই প্রতিষ্ঠানটির সিবিএ’র সব ধরনের আন্দোলনের সুযোগ সংকুচিত হয়ে যায়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের শ্রমিকরা কথায় কথায় ধর্মঘট ডেকে হয়রানি তৈরি করায় শ্রম মন্ত্রণালয় তাদের ‘অত্যাবশ্যকীয় শ্রমিক’ বলে ঘোষণা দিয়ে সম্প্রতি গেজেট প্রকাশ করে। এর মাধ্যমে বিমানের সিবিএ-বাপা ধর্মঘট, কর্মবিরতি, অবরোধসহ কোনো ধরনের আন্দোলন কর্মসূচি চালাতে পারবে না।
বিমান সূত্রে জানা যায়, সিবিএ’র নেতারা কাজ না করে আন্দোলন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, আবার সময়মতো এসে বেতন নিয়ে যান। কর্মচারীদের ‘অত্যাবশ্যকীয় শ্রমিক’ ঘোষণা করায় তারা আর সেই কাজ করতে পারবেন না। আন্দোলন বন্ধ করে কাজ করতে হবে নিয়ম-মাফিক। নয়তো সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিমান আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারবে।
বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয় বিমানের কর্মচারীদের অত্যাবশ্যকীয় শ্রমিক হিসেবে ঘোষণা দিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে। এর ফলে সিবিএ এখন অযৌক্তিকভাবে আর কোনো আন্দোলন বা ধর্মঘট করতে পারবে না।
মন্তব্য চালু নেই