‘ইলেক্ট্রিক কেটলি থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে আগুন’
চায়ের ইলেক্ট্রিক কেটলির মাধ্যমে শর্ট সার্কিট থেকেই বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের জিএমের রুমে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
শনিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত রুম পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিস ঢাকা বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর (ডিডি) ও এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস।
তিনি বলেন, ‘আগুনে গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে যাওয়ার যে তথ্যের কথা বলা হয়েছে- তা সত্য নয়। জিএমের রুমে আগুন লেগেছিল। ওই রুমে থাকা চায়ের ইলেক্ট্রিক কেটলিতে শর্ট সার্কিট থেকেই এ আগুনের সূত্রপাত হয় বলে আমাদের ধারণা। এতে ওই রুমে থাকা কয়েকটি চেয়ার-টেবিল পুড়েছে। তবে এ আগুনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ নথি, কম্পিউটার, কাগজ ও ফাইলের ক্ষতি হয়নি।’
তিনি জানান, শনিবার সাধারণ ছুটি এবং রোববার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বন্ধের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের পর সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে তদন্ত করা হবে। এরপরই চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হবে।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকে আগুন লাগার ঘটনা তদন্তে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মতিঝিল থানা পুলিশের একটি দল। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মতিঝিল থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে যান। পরিদর্শন শেষে তাৎক্ষনিকভাবে তারা কিছু বলেননি। পুলিশ দলের সদস্যরা থানায় ফিরে গেছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩০তলা ভবনের ১৪ তলায় বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগের একটি কক্ষে বৃহস্পতিবার রাতে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘণ্টা খানেকের চেষ্টার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
এই ঘটনায় শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক নুরুল ইসলাম মতিঝিল থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন। জিডি নং-১৫৭৩।
আগুন লাগার ঘটনায় রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ক্ষয়ক্ষতি ও কারণ জানতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির প্রধান করা হয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ জামালকে। অপর দুই সদস্য হলেন ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক লে. কর্নেল (অব.) মো. মাহমুদুল হক খান চৌধুরী ও তফাজ্জল হোসেন। কমিটি আগামী ২৮ মার্চ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হযেছে।
একই ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস আলাদা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ফায়ার সার্ভিস ঢাকার ডেপুটি ডিরেক্টর (ডিডি) সমেরন্দ্র নাথ বিশ্বাসকে প্রধান করে ৫ সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আগামী ৫ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক ও ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি অর্থ মন্ত্রণালয় থেকেও কমিটি গঠন করা হবে বলে সাংবাদিকদের জায়িছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
মন্তব্য চালু নেই