তদন্ত কমিটিকে শ্যালা নদীতে চুবাতে চাইলেন আনু মুহাম্মদ

‘সুন্দরবন এলাকার শ্যালা নদীতে ছড়িয়ে পড়া তেলে নদীর পানি, বন ও প্রাণের কোনো ক্ষতি হবে না’ মন্ত্রী ও তদন্ত কমিটির এমন মন্তব্যে তাদের শ্যালা নদীতে চুবাতে বললেন- তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

শুক্রবার সকালে ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে এ সংক্রান্ত ১টি মতামত প্রকাশ করেছেন তিনি।

আনু মুহাম্মদ লিখেছেন ‘মন্ত্রী, তদন্ত কমিটিসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বলতে শুরু করেছেন ফার্নেস তেল দিয়ে নদীর পানি, বন ও প্রাণের কোনো ক্ষতি হয়নি, মৃতদেহ না দেখে তারা নিশ্চিন্ত! তেল তো চলেই গেছে পাড়ে কিংবা দূরে। যেসব গাছে ভুল করে তেল গিয়ে লেগেছে সেগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে, আরো নিশ্চিন্ত।’

শিশুসহ মৎস্যজীবী বনজীবী মানুষেরা শরীরে মুখে তেল মেখে তেল পরিষ্কার করছেন, বিরাট স্বস্তি কর্তা ব্যক্তিদের জন্য। আরে ‘ওরা তো এগুলোতে অভ্যস্ত, এগুলোতে ওদের ক্ষতি হয় না’ কাজেই কোনো নিরাপত্তা বর্ম দেবার দরকার নেই। এখানেও নিশ্চিন্ত।’

আমরা এক কাজ করতে পারি, ‘এই নিশ্চিন্ত ব্যক্তিদের শ্যালা নদীর পানিতে বা সংযুক্ত খালের পানিতে চুবিয়ে নিয়ে আসি। এই কর্তা ব্যক্তিরা নিশ্চয়ই এতে কোনো আপত্তি করবেন না, কারণ তারা তো নিশ্চিত যে, এতে কোন ক্ষতি হবে না!!’

এদিকে, শুক্রবার সকালে মাদারীপুর সার্কিট হাউসে এলজিইডি ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের নৌ-পরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘শুধুমাত্র একটি সাপ মরার ছবি মিডিয়া দেখাতে পেরেছে। এ ছাড়া পাখি, জলহস্তী, কুমিরসহ কোনো প্রাণী মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।’

গত ১৪ ডিসেম্বর জাহাজডুবির ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে তিনি সংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘সুন্দরবনের মধ্যে নদীতে ডুবে যাওয়া তেলবাহী জাহাজের তেলে বনের কোনো ক্ষতি হবে না।’

উল্লেখ্য, ৯ ডিসেম্বর সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে তেলভর্তি ট্যাঙ্কার ডুবে যায়। এতে ফার্নেস ওয়েল সুন্দরবনের নদীতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।



মন্তব্য চালু নেই