মেহেরপুরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৪
মেহেরপুর জেলার সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চারজন নিহত হয়েছেন।
এ সময় একজন সহকারী পুলিশ সুপারসহ ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।আহতদের মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার নুরপুর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত চারজন এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী বলে পুলিশ দাবি করেছে। এ ছাড়া তারা সোনাপুর গ্রামের জোড়া খুন মামলার আসামি বলেও ধারণা করছে পুলিশ।
নিহতরা হলো সদর উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের ভোদু মালিতার ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৫) ও রসময় কর্মকারের ছেলে রমেশ (২৪), পার্শ্ববর্তী টুঙ্গি গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে সোহাগ (২৫) এবং পিরোজপুর গ্রামের আবুল কালাম খাঁর ছেলে কানন খাঁ (২৫)।
মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, রাত আড়াইটার দিকে কয়েকজন সন্ত্রাসীকে ধাওয়া করে পুলিশের একটি দল। ধাওয়া করে সদর উপজেলার নুরপুর মোড়ে পৌঁছলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে।
এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় চারজন।এ সময় সহকারী পুলিশ সুপার আহসান হাবীবসহ ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবু এহসান রাজু জানান, ভোর পৌনে ৪ টার দিকে গুলিবিদ্ধ চারজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। হাসপাতালে আসার আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ রাত ১০টার দিকে সোনাপুর গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ ও আসাদুল ইসলামকে গ্রামের একটি চায়ের দোকান থেকে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। দাবিকৃত ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে তাদেরকে গলাকেটে হত্যা করা হয়।
পরদিন বেলা ১১ টার দিকে কাঁঠালপোতা গ্রামের একটি তামাকখেত থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। বন্দুকযুদ্ধে নিহত চারজন ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে ধারণা করছে পুলিশ।
মন্তব্য চালু নেই