খদ্দেরের মুখে বিক্রেতা ঠুসে দিচ্ছেন জ্বলন্ত পান, তারপরে কী অবাক কাণ্ড ঘটলো (ভিডিও)
খদ্দের হাজির হলেই চুনীলাল পানে আগুন ধরান। দাউ দাউ করে যখন আগুন জ্বলতে শুরু করে, তখন তিনি পানটি ঠুসে দেন খদ্দেরের মুখে।
শিরোনাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে ঘটনা কী। কিন্তু তলিয়ে ভাবলে এটাকে কোনও আজগুবি নাটকের দৃশ্য বলে মনে হতেই পারে। সুন্দরী ক্রেতার ঈষৎ দ্বিধাগ্রস্ততাকে তুচ্ছ করে বিক্রেতা যে পান তাঁর মুখে ঠুসে দিচ্ছেন, তাতে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। এই দৃশ্যে কিন্তু একটুএ ঘাবড়াচ্ছেন না রাজকোটের মানুষ। তাঁদের কাছে চুনীলাল পানওয়ালার এই কামাল আজ একেবারেই নৈমিত্তিক ব্যাপার।
তিন দশক ধরে পান বেচছেন চুনীলাল। বেনারসি, মঘাই— হরেক কিসিমের পান তাঁর হাতে কথা বলে। দূর-দূরান্ত থেকেও মানুষ খেতে আসেন চুনীলালের হাতের পান। কিন্ত গত ৮ বছর যাবৎ চুনীলাল না-খুশ। কম্পিটিশেন বাড়ছে। বেনারসি-মঘাই-বাংলার ছাঁচিপান যে কেউ নামিয়ে দিচ্ছে যখন তখন। কী করা যায় এমতাবস্থায়?
আট বছরের অধ্যবসায় আর রিসার্চে চুনীলাল আবিষ্কার করেছেন ‘জ্বলন্ত পান’। যাতে পান, সুপারি, লবঙ্গ, এলাচ, চুন খয়ের— সবই রয়েছে।কিন্তু তাতে এমন কিছু মেশান চুনীলাল, যা এক্কেবারে ‘ট্রেড সিক্রেট’। খদ্দের হাজির হলেই চুনীলাল পানে আগুন ধরান। দাউ দাউ করে যখন আগুন জ্বলতে শুরু করে, তখন তিনি পানটি ঠুসে দেন খদ্দেরের মুখে। তার পরে যা ঘটে, তা অবিশ্বাস্য। ভিডিও-তে নিজেই দেখে নিন—
চুনীলালের এই ‘আবিষ্কার’ কিন্তু বেশিদিন গোপন থাকেনি। রাজকোটের চৌহদ্দি পেরিয়ে নাসিক, দিল্লি বা অন্যত্রও ছড়িয়ে পড়েছে জ্বলন্ত পান। চুনীলালের অবদান কি মনে রাখছেন কেউ?
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
মন্তব্য চালু নেই