প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তা-ভাবনার কারণে দেশে আইটি সেক্টরের মতো পোল্ট্রি সেক্টরও সামনের দিকে এগিয়ে চলছে। বৃহস্পতিবার বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে দশম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি প্রদর্শনী ও সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এসব কথা বলেন। এবারের পোল্ট্রি প্রদর্শনীতে নীলসাগর অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজসহ দেশি-বিদেশি ১৯৫টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।

প্রদর্শনীতে মোট স্টল রয়েছে ৪৯০টি। বিশ্বের ২০টি দেশের প্রতিনিধিরা তিনদিনব্যাপী এ শো’তে অংশ নিয়েছেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তা-ভাবনার কারণে পোল্ট্রি শিল্পকে রক্ষায় বিভিন্ন ভ্যাকসিন তিনি দেশে নিয়ে এসেছেন। ওনার বিজ্ঞানভিত্তিক চিন্তা-ভাবনার কারণেই আইটি শিল্পের সঙ্গে পোল্ট্রি শিল্প এগিয়ে চলেছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে এ খাতে প্রত্যক্ষভাবে ২০ লাখ ও পরোক্ষভাবে আরো ৫০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া দেশের মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় প্রাণীজ আমিষের চাহিদা পূরণে অবদান রাখছে পোল্ট্রি শিল্প। এ শিল্পের অগ্রযাত্রায় সরকার সবধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, বর্তমানে পোল্ট্রি শিল্পে ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ রয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে এ খাতে আরো ৩০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ যোগ হবে।

এ সময় ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি সাইন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে এ প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরুর পর পোল্ট্রি শিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে। ১৯১২ সালে সংগঠনটি বিশ্বব্যাপি কার্যক্রম শুরু করলেও বাংলাদেশে সংগঠনটির কোনো কার্যক্রম ছিল না। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর এ সংস্থাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসে।

তিনি বলেন, নানা ধরনের রোগ ব্যাধি থেকে পোল্ট্রি শিল্পকে সুরক্ষা করে, মাংস ও ডিমে স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে সংস্থাটি সবধরনের সহযোগিতা করে আসছে। নুতন নতুন জাত ও মুরগির সুরক্ষায় গবেষণা করে যাচ্ছে এ সংস্থাটি।

অনুষ্ঠানে অন্যানদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি সাইন্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ শাখার সভাপতি সামছুল আরেফিন খালেদ, বাংলাদেশ প্রাণী সম্পদ বিভাগের মহা-পরিচালক ড. মোহাম্মাদ আইনুল হক ও অধ্যাপক ড. সত্তার মণ্ডল প্রমুখ