ফেসবুকে হাসি ফুটেছে প্রতিবন্ধী জহুরার মুখে

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের ফেসবুকের স্ট্যাটাসের মাধ্যমে সাহায্য সংগ্রহ করে প্রতিবন্ধী নারী জহুরা পারভিনের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন শাহজাদপুরের মামুন বিশ্বাস।

মামুনের দেয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে সংগৃহীত ৭৪ হাজার ২০০ টাকা জহুরা পারভিনের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দীকা জহুরার হাতে এ অর্থ তুলে দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আরডিসি আরিফুজ্জামান, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব মাসুদ পারভেজ ও সাংবাদিক রফিক মোল্লা প্রমুখ।

মামুন বিশ্বাস জানান, তাঁতশিল্প সমৃদ্ধ এনায়েতপুরের রুপসী গ্রামের জহুরুল মন্ডলের বড় মেয়ে জহুরা পারভীন জন্মের পর দুটি পা অচল হয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে যান। পরিণত বয়সে বিয়ে হয় বগুড়ার একজন দিনমুজুরের সঙ্গে। কিছুদিন পর তার স্বামীও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

এরপর থেকেই স্বামীসহ বাবার বাড়িতেই বসবাস তার। তাদের সংসারে একটি ফুটফুটে মেয়েও রয়েছে। জহুরার থাকার ঘরটি বসবাসের অনুপযোগী হওয়ার কারণেই ফেসবুকের মাধ্যম্যে তার জন্য অর্থ সাহায্য চাওয়া হয়।

এতে সাড়া দিয়ে ফেসবুকের বন্ধুরা জহুরা বেগমের ঘর নির্মাণের জন্য ৭৪ হাজার ২০০ টাকা পাঠায় যা মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে জহুরার হাতে তুলে দেয়া হয়।

সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দিকা জানান, মামুন বিশ্বাস ফেসবুকের ভালো দিকটি কাজে লাগিয়ে সমাজের নানা উপকার করছেন যা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তার এই কর্মপন্থা দেখে আরও মানুষ সামাজিক এসব কাজে এগিয়ে আসবে।

পাশাপাশি জহুরা বেগমের জন্য প্রতিবন্ধী কার্ডসহ স্থানীয় প্রশাসন থেকে আর্থিক সহায়তারও আশ্বাস দেন তিনি।

এদিকে ঘর তৈরির জন্য নগদ অর্থ পেয়ে আবেগাপ্লুত জহুরা বলেন, ‘শুধু ছবি দেখে মানুষ যে আমাকে সাহায্য করবে তা আমি কল্পনাই করতে পারিনি। যারা সহায্যের হাত বাড়িয়েছেন তাদের প্রতি আমি চির কৃতজ্ঞ।’



মন্তব্য চালু নেই