সুনামগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ঘে নিহত ১, আহত শতাধিক
সুনামগঞ্জের ছাতকে আলীয়া ও কওমি মাদ্রসার ছাত্র-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থী, পথচারী ও পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছেন শতাধিক ব্যক্তি। সংঘর্ষে আহত আব্দুল বাছেত বাবুলকে (৪৫) সিলেট এমএজি ওসামানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি সেখানে মারা যান।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে ছাতক হাইস্কুল মাঠে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষ থামাতে সুনামগঞ্জ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব ছাতকে পাঠানো হয়।
সংঘর্ষে আহত বাবুল সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ছাতক থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশেক সুজা মামুন।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন-মজলু মিয়া (৪০), আব্দুল কাদির (৫০), আব্দুল জব্বার (৩০), সুরত আলী (২৫), শহীদ মিয়া (২০), আলেখ মিয়া (২৫), তানভীর আহমদ (১৮), রুমন মিয়া (১৭), আহমদ শরীফ (২৫) মেহেদী হাসান (১৮) লাহিন চৌধুরী (৪০), ইমরান আহমদ (২২), তারেক মিয়া (২৩), মাসুম আহমদ (২৫), মোস্তফা কামাল (২৪), মোক্তার হোসেন (৩০), ও নূর হোসেন (২৬)। তাদেরকে সিলেট এমএজি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অন্তত আরও ৭০ জনকে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এর মধ্যে ছররা গুলিতে অন্তত ১৫ জন আহত বলে জানিয়েছেন ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. ফারুক আহমদ।
এ ছাড়াও উভয় পক্ষের ইট পাটকেলে ছাতক থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশেক সুজা মামুন, এসআই শফিকুল আলম, এসআই সোহেল রানা, এসআই নূর মোহাম্মদ খান, এসআই সৈয়দ আব্দুল মান্নান ও কনস্টেবল মাহফুজুর রহমান, শরীফ উদ্দিন, সৌরভ ও ওয়াহিদুজ্জামান আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে ছাতক থানা পুলিশ ৩৬ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৭০ রাউন্ড টিআরসেল নিক্ষেপ করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার উপজেলার জাউয়াবাজার এলাকায় আলীয়া মাদ্রসার ছাত্র-শিক্ষক ও সমর্থক ৩ দিনব্যাপি ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করেন। রবিবার মাহফিলে বাধা দেয় কওমি মাদ্রসার ছাত্র-শিক্ষক ও সমর্থকরা। এর জের ধরে সোমবার ছাতক হাইস্কুল মাঠে কওমি মাদ্রসার ছাত্র-শিক্ষক ও সমর্থকদের সঙ্গে আলীয়া মাদ্রসার ছাত্র-শিক্ষক ও সমর্থকদের সংঘর্ষ বাধে। এতে ছাতক শহরের ট্রাফিক পয়েন্ট থেকে জালালিয়া মাদ্রসা পর্যন্ত অন্তত আধাকিলোমিটার পর্যন্ত সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে পরীক্ষার্থী, পথচারীসহ অন্তত শতাধিক লোক আহত হয়।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশীদ জানান, সংঘর্ষ থামাতে সুনামগঞ্জ থেকে অতিরিক্ত ৩ প্লাটুন পুলিশ ও র্যাব ছাতক পাঠানো হয়।
মন্তব্য চালু নেই