‘পিলখানা হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ফাঁসি কার্যকর সময়ের ব্যাপার’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘মহাজোট সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে তা হলো পিলখানা বিদ্রোহ। আমরা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছি। ইতোমধ্যে বিচারের মুখোমুখি করেছি। সাজা কর্যকরের কাছাকাছি। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে জতিতদের ফাঁসি কার্যকর সময়ের ব্যাপার মাত্র। যারা এখনো পলাতক তাদের বিচারের আওতায় আনার কার্যক্রম চলমান।’

পিলখানা ট্র্যাজেডির ৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে শনিবার সকালে রাজধানীর বনানীর সামরিক কবরস্থানে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘যারা কারান্তরীণ তাদের অনেকেই সাজা ভোগ করতে শুরু করেছেন। আর যাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাদের সাজা বাস্তবায়নে কার্যক্রম চলমান আছে।’

শহীদদের পরিবারের পক্ষ থেকে এ দুইদিনকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণার দাবির বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এই দিনটিকে যথাযোগ্য ভাবে পালন করে আসছি।’

এ সময় রাষ্ট্রপতির পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মো. সারোয়ার হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন, স্বরাষ্ট্রসচিব কামাল আহমেদ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন।

এর পর নিহত সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার পরপরই পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দফতরে এক নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। সেদিন ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন প্রাণ হারান।



মন্তব্য চালু নেই