মাংসের ঘাটতি কমাতে ‘ষাঁড়’ আসছে ব্রাজিল থেকে

দেশীয় গবাদি পশুর মাধ্যমেই মাংসের চাহিদা মেটাতে ব্রাজিল থেকে উন্নত প্রযুক্তি এনে উন্নত ষাঁড় উৎপাদনে কাজ শুরু করেছে সরকার। সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন মৎস‌্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক।

ব্রাজিল থেকে প্রযুক্তি এনে মাত্র দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে বিশেষ ধরণের ষাঁড় (সুপিরিয়র প্রুভেন বুল) উৎপাদন করে দেশে মাংসের চাহিদার ঘাটতি মেটানো হবে বলে জানান তিনি। প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে ৭০ দশমিক ৫২ লাখ মেট্রিকটন মাংসের চাহিদার বিপরীতে ৬১ দশমিক ৫২ লাখ টন উৎপাদন হয়। আগের তুলনায় মাংসের উৎপাদন বাড়লেও দেশে এখন মাংসের ঘাটতি ৯ লাখ টন।

উৎপাদন বৃদ্ধির পরও কেন দেশে মাংসের দাম বেড়ে চলছে- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রাণিম্পদ মন্ত্রী বলেন, আগে হালচাষ করা হতো গরু দিয়ে, এখন করা হয় পাওয়ার টিলার দিয়ে।

দেশের জনগণ আগের মত গরু লালন-পালন করে না। ১৯৭০ সালে নির্বাচনে যখন মাঠে গিয়েছি তখন প্রতি বাড়িতে একাধিক গরুর গোয়াল ছিল, এখন যান সারা গ্রামে একটা গোয়াল ঘর পাবেন না। গবাদিপশুর জন্মহারে ব্যাপক ঘাটতি পড়েছে।

দেশে মাংসের চাহিদা পূরণের জন্য ব্রাজিল সফর করেছেন জানিয়ে ছায়েদুল হক বলেন, ব্রাজিল একটা মডার্ন টেকনোলজি বের করেছে। এই প্রযুক্তি নিয়ে আসলে দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে সুপিরিয়র বুল তৈরি হবে।

সুপিরিয়র বুল তৈরিতে বাংলাদেশে ৬ থেকে ৭ বছর সময় লাগে। মন্ত্রী বলেন, আশা করি আগামী মার্চ মাস থেকে এই প্রযুক্তি ব্যবহারে কাজ শুরু করা যাবে। এতে মাংসের দামও কমে যাবে।

ব্রাজিলের সুপিরিয়র বুল উৎপাদনের প্রযুক্তি চীন, জার্মানি, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ নিয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।



মন্তব্য চালু নেই