অবশেষে শুল্কমুক্ত সুবিধার ২ গাড়ি ফেরত দিল বিশ্বব্যাংক

শুল্কমুক্ত সুবিধায় নেয়া ১৬টি গাড়ির মধ্যে দুটি ফেরত দিয়েছে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস। বিশেষ কাজে আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটির কর্মকর্তাদের জন্য আনা হয়েছিল। তারা কাজ শেষে ফেরত গেলেও নিয়ম অনুযায়ী গাড়ির পাসবুক হস্তান্তর করেনি।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে দুটি গাড়ি শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কাছে জমা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

গাড়ির মধ্যে টয়োটার একটি আরএভি-ফোর এসইউভি ও একটি সেডান রয়েছে বলে জানা গেছে। বিশ্বব্যাংকের জমা দেওয়া গাড়ি দুটির বিষয়ে আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, শুল্কমুক্ত সুবিধায় বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের আনা ১৬টি গাড়ি কোথায়-কীভাবে আছে, তা জানতে চেয়ে চিঠি দেয় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। একই সঙ্গে ওই গাড়িগুলোর পাসবুক জমা দেওয়ার জন্য বলা হয় চিঠিতে।

শুল্ক গোয়েন্দাদের ধারণা, এসব গাড়ি যথাযথ নিয়মে হস্তান্তর না করে শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।

২০০৩ সালের প্রিভিলেজড পারসনস (কাস্টমস প্রসিডিউর) রুলসের আওতায় বাংলাদেশে কর্মরত দাতা সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানি করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধানের সুপারিশ থাকতে হয় এবং এনবিআর ওই গাড়ির বিপরীতে একটি পাসবুক দেয়। যে ব্যক্তি গাড়ি আমদানি করেন, তিনি বাংলাদেশ থেকে চলে যাওয়ার তার আগে গাড়ি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া ও পাস বইয়ের তথ্য কাস্টমসের নিবন্ধন খাতায় লিপিবদ্ধ করে যেতে হয়।

এ সুবিধার আওতায় ২০০৬, ২০০৭ ও ২০০৯ সালে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের কর্মকর্তাদের নামে বিভিন্ন মডেলের ১৬টি গাড়ি আনা হয়। সেই কর্মকর্তারা দেশত্যাগ করলেও কাস্টমসের কাছে তাদের গাড়ির বিষয়ে কোনো তথ্য জমা পড়েনি।

প্রিভিলেজড পারসনস রুলসের আওতায় আনা গাড়ি হস্তান্তর করার তিনটি বৈধ উপায় আছে। ওই গাড়ি নিলামে বিক্রি করা যেতে পারে। অন্য কোনো প্রিভিলেজড পারসনের কাছে হস্তান্তর করা যেতে পারে। অথবা সব ধরনের কর ও শুল্ক দিয়ে সাধারণ ব্যক্তির যানবাহন হিসেবে ব্যবহারের জন্য যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা যেতে পারে।

কিন্তু এর কোনোটিই করা হয়নি এই ১৬ গাড়ির ব্যপারে। সম্প্রতি এটি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে তৎপর হয়ে উঠে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।



মন্তব্য চালু নেই