‘সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ছিলেন একাই এক শ’
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত তার সময়ে একাই এক শ ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুতে শোকপ্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এরপর শোকপ্রস্তাবটি সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়। বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদসহ আরো অনেকে আলোচনায় অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এই সংসদে সবাই একসাথে ছিলাম। ২০১৪ সালে একটা বৈরী পরিবেশে নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে আমরা সংসদে এসেছি। এখানে বসে জনগণের কল্যাণে অনেক আইন পাস করেছি। তাই যখন কোনো সংসদ সদস্যকে হারাই তখন কষ্টের কোনো সীমা থাকে না।’
তিনি বলেন, ‘ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আমি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুর খবর পাই। সাথে সাথে তার স্ত্রীকে ফোন করি। তার সঙ্গে কথা বলি। গতরাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর ব্যাপারে কথা হচ্ছিল। কিন্তু সেই সুযোগটাও তিনি আমাদের দিলেন না। ’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় তাকে (সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত) উৎসাহিত করতেন। আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে, ৭০ সালের প্রাদেশিক ও জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে যারা বিজয়ী হয়েছিলেন, তাদের নিয়েই মুক্তিযুদ্ধের পর গণপরিষদ গঠন করা হয়। সেখানেই আমাদের সংবিধান রচনার কাজ শুরু হয়। সংবিধান রচনা করার সময় অনেক আলাপ-আলোচনা তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলতে গেলে তখন বিরোধী দলের ভূমিকায় ছিলেন। তখন তিনি ছিলেন একাই এক শ। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক এবং গণতান্ত্রিক ধারায় বিশ্বাস করতেন। আমরা একজন বিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ানকে হারালাম।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা একটি ক্ষতবিক্ষত সংবিধান পেয়েছিলাম। সেই ক্ষতবিক্ষত সংবিধানকে প্রতিষ্ঠিত করতে আমাদের আন্দোলন করতে হয়েছে। সেই সংগ্রামের পথে একজন সাথী ছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।’
পরিশেষে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বিদেহী আত্মার শান্তির কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানান প্রধানমন্ত্রী।
মন্তব্য চালু নেই